গর্ভাবস্থায় যে খাবার খাবেন না

images

কফি অথবা ক্যাফেইন যুক্ত পানীয় : পরীক্ষায় প্রমাণিত অতিরিক্ত পরিমাণ ক্যাফেইন গ্রহণ করলে গর্ভধারণের প্রাথমিক পর্যায়ে ভ্রুণ মারা যেতে পারে।

 মদ : গর্ভকালীন সময়ে মদ্যপান করলে গর্ভের সন্তানের স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হওয়াসহ সমূহ বিপদের আশংকা থাকে।

গভীর সমুদ্রের মাছ : টুনাফিশ, শার্কসহ অনেক নোনা পানির মাছে মাত্রাতিরিক্ত পারদ জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ বিদ্যমান থাকে যার বিষক্রিয়ায় গর্ভস্থ ভ্রুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

কাঁচা মাংস, কাঁচা ডিম, কেকবাটার, বারবিকিউ, সুশী (জাপানি খাবার), মেইওনাস, কাঁচা ডিম দিয়ে তৈরি মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার : এসব খাবারে সালমোনিলা নামক রাসায়নিক উপাদান এবং ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে যা গর্ভের সন্তানের জন্য মঙ্গলকর নয়।

অল্প রান্না করা মাংস অথবা সিদ্ধ করা মাংস : ভালোভাবে রান্না না করলে মাংসে ক্ষতিকর ‘ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া’ নষ্ট হয় না, যা গর্ভের ভ্রুণের জন্য বিপজ্জনক।

ডা. বেদৌরা শারমিন

– See more at: http://www.jugantor.com/stay-well/2015/01/31/213267#sthash.PzcbcY0k.dpuf

শিশুর জ্বর ও খিঁচুনি

ডা. রাবেয়া রহমান

 

আইসিডিডিআরবি অতিমাত্রায় জ্বরে ভুগছে এমন শিশুদের জ্বরজনিত খিঁচুনি সাধারণত দেখা যায়। যে শিশু কানের প্রদাহ, সংক্রমণ, ঠাণ্ডা, সর্দি, ইত্যাদিতে বেশি মাত্রায় ভুগে থাকে, সে শিশু জ্বরজনিত খিঁচুনিতে আক্রান্ত হয়। কিছু মারাত্মক সংক্রমণও এ খিঁচুনির কারণ হতে পারে, যেমন নিউমোনিয়া, মেনিনজাইটিস ইত্যাদি।

এ ধরনের খিঁচুনির ক্ষেত্রে কারণ শনাক্ত করে যদি চিকিৎসাসেবা দেয়া যায়, তবে, কোনো রকম স্থায়ী ক্ষতি ছাড়াই শিশুকে সুস্থ করা যায়।

জ্বরজনিত খিঁচুনি কেন ও কাদের হয়

শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয় এমন যে কোনো অসুখই এ ধরনের খিঁচুনির জন্য দায়ী। এটি কোনো অসুখ নয়, অন্য কোনো অসুখের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। কতগুলো রোগ আছে যেগুলো খিঁচুনির কারণ হিসেবে চিহ্নিত। যেমন-

* কানে প্রদাহ এবং সংক্রমণ

* সর্দি, কাশি ও ঠাণ্ডা লাগা

* ইনফ্লুয়েঞ্জা

* ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত কোনো অসুখ

* নিউমোনিয়া

* মেনিনজাইটিস

* কিডনির সংক্রমণ

সাধারণত ছয় বছর বয়সের আগে শতকরা ৩ জন শিশু এ ধরনের খিঁচুনিতে ভুগে থাকে। তবে, খিঁচুনি বেশি হতে দেখা যায় ১৮ মাস থেকে ৩ বছর বয়সের মধ্যে। সাধারণত ৬ মাস বয়সের নিচে এবং ৬ বছরের পর জ্বরজনিত খিঁচুনি কম হতে দেখা যায়। জ্বরজনিত খিঁচুনি ৩ ধরনের হতে পারে :

সাধারণ খিঁচুনি (২০ জন আক্রান্ত শিশুর মধ্যে ১৫ জনের ক্ষেত্রে) : এই ধরনের খিঁচুনিই সবচেয়ে বেশি ঘটে থাকে। শিশুর শরীর এতে লালচে রঙ ধারণ করতে পারে, শরীর শক্ত হয়ে যেতে পারে এবং শরীর আঁকাবাঁকা আকার ধারণ করতে পারে। তবে, এই অবস্থা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। কয়েক সেকেন্ড থেকে শুরু করে ৫ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয় না। শিশু কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘুমিয়ে যেতে পারে। জ্বর কমে গেলে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে শিশু সুস্থ বোধ করতে শুরু করে। এ খিঁচুনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বারবার ফিরে আসে না।

অল্প জটিল ধরনের খিঁচুনি (২০ জন শিশুর মধ্যে ৪ জনের ক্ষেত্রে) : এটিও সাধারণ খিঁচুনির মতো। তবে, এতে আরও কিছু উপসর্গ দেখা যেতে পারে, যেমন :

* খিঁচুনির স্থায়িত্ব ১৫ মিনিট কিংবা তার চেয়েও বেশি হতে পারে।

* ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একাধিকবার ঘটতে পারে।

* সারা শরীরে খিঁচুনি দেখা দিতে পারে।

* আংশিক খিঁচুনিও হতে পারে, যেমন শুধু এক পা কিংবা এক হাত।

জটিল ধরনের খিঁচুনি (২০ জন শিশুর মধ্যে ১ জনের ক্ষেত্রে) : এক্ষেত্রে খিঁচুনি সময়সীমা বেড়ে ৩০ মিনিট পর্যন্ত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে যা করা যেতে পারে তা হল :

* কখন খিঁচুনি শুরু হল তা খেয়াল করতে হবে।

* মাথার দিকটা নিচু রেখে শিশুকে শুইয়ে দিতে হবে।

* মুখে কোনো খাবার দেয়া যাবে না।

* খিঁচুনির সময় শিশুকে ঝাঁকানো যাবে না এবং শিশুকে বাঁকা করা যাবে না।

* খিঁচুনির সময় শিশুর মাথায় পানি ঢেলে এবং নরম সুতি-কাপড় ভিজিয়ে গা মুছে দেয়া উচিত এবং তাকে ঢিলেঢালা কাপড় পরানো উচিত।

প্রাথমিক চিকিৎসার পর কী করণীয়

শিশুকে ভালোমতো পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং নিুোক্ত উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে :

* একবার খিঁচুনির পর শিশুর অবস্থান উন্নতি না হলে।

* একবার খিঁচুনির পর যদি আবারও তা হতে থাকে।

* শিশুর যদি শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।

জ্বরজনিত খিঁচুনির চিকিৎসা

খিঁচুনি যদি নিজে থেকেই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ভালো হয়ে যায়, তবে, কোনো চিকিৎসার দরকার হয় না। তা না হলে :

* শিশুর গায়ের কাপড় আলগা করে দিতে হবে। ঘর গরম থাকলে শিশুর গায়ের সব কাপড় খুলে দেয়া যেতে পারে।

* PARACETAMOL SUPPOSITORY দিতে হবে।

* ঠাণ্ডা পানীয় পান করাতে হবে।

* জ্বরের আসল কারণ বের করে মূল রোগের চিকিৎসা করাতে হবে।

জ্বরজনিত খিঁচুনি কি বারবার ঘটতে পারে

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি একবারই ঘটে থাকে। তবে, প্রতি ১০ জন শিশুর মধ্যে অন্তত ৩ জনের ক্ষেত্রে জ্বরের সময় আবারও এটি হতে পারে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, জ্বরজনিত খিঁচুনি হয়েছিল এমন ১০ জন শিশুর ক্ষেত্রে পরবর্তীকালে প্রচণ্ড জ্বরের সময় তাদের আবারও দুই থেকে তিনবার খিঁচুনি হয়েছিল। এই খিঁচুনিতে পারিবারিক ইতিহাস একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কোনো স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে কি

সাধারণত এ রোগে কোনো স্থায়ী ক্ষতি হয় না। রোগ-পরবর্তী কোনো ক্ষতি ছাড়া পুরোপুরি ভালো হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে যে অসুখের কারণে খিঁচুনি হচ্ছে তার মাধ্যমে ক্ষতি হতে পারে। সেজন্য, যে কারণে জ্বর হচ্ছে তার চিকিৎসা করা জরুরি।

– See more at: http://www.jugantor.com/stay-well/2015/01/31/213263#sthash.LU4Vu9dK.dpuf

ডাক্তার-রোগীর সমস্যা বুঝতে চিকিৎসকরা সাবধান!

অ-অ+

চিকিৎসকদের জন্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য দিয়েছে নতুন এক গবেষণা। যে চিকিৎসকরা রোগীর বক্তব্য শোসার পর বলেন যে, তারা আসল সমস্যা বুঝতে পারেননি, তারা মূলত রোগীর সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে দিলেন। গবেষণায় বলা হয়, রোগীরা যখন চিকিৎসকের কাছ থেকে শোনেন যে, তিনি (চিকিৎসক) বুঝতে পারছেন না তার সমস্যার কথা, তখন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তারা।
ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব সাউদাম্পটন এর গবেষক ম্যাডি গ্রেভিলস-হ্যারিস তার গবেষণায় জানান, রোগীর সমস্যা চিকিৎসকের ধরতে না পারার আচরণে মানসিক ও দৈহিকভাবে ক্ষতি বয়ে আনতে পারে রোগীর। এতে করে রোগীর বর্তমান অবস্থা আরো খারাপের দিতে যেতে পারে।
গবেষক বলেন, চিকিৎসকের প্রতি রোগীদের বিশ্বাস ও আশা থাকে যে, তারা নিমিষেই তাদের যাবতীয় রোগ ধরতে পারবেন এবং এর সমাধানও তাদের কাছ রয়েছে। এর ব্যাত্যয় ঘটলে রোগীদের মনে ভয় ঢুকে যায়। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের কনসালটিং এর পদ্ধতি বদলানো প্রয়োজন।
এ গবেষণায় একটি ব্যাথা নিরাময় কেন্দ্রের রোগীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এদের অনেকেই তার রোগ এবং তার প্রতিকার নিয়ে সংশয়ে ভুগছেন। কারণ চিকিৎসকরা তাদের সমস্যাটি বুঝতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে মনে করছেন তারা। ডাক্তারদের এ ধরনের মনোভাবে রোগীর মনে ক্ষোভ জন্মে এবং চিকিৎসায় বিশ্বাস কমে যায়।
তাই কনসালটিংয়ের ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের আরো সাবধান হতে হবে। প্রয়োজনে এ জন্যে বিশেষ ট্রনিংয়ের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন বলেও মনে করেন ইউনিভার্সিটি অব এক্সিটার এর প্রফেসর পল ডিয়েপে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

– See more at: http://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2015/01/29/181380#sthash.rQBz56y7.dpuf

সােয়াইন ফ্লু-ভারতে সোয়াইন ফ্লু মৃত ৩৩

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি, হরিয়ানা ও তেলেঙ্গানায় আরও ৭০ জন সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছে এবং এতে এখন পর্যন্ত ৩৩ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।

দিল্লিতে মঙ্গলবার নতুন করে ২৬ জন সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর রাজধানীতে সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ২৮৫ জন হয়েছে। হরিয়ানায় ৪১ জন সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছে এবং সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। তেলেঙ্গানায় গত ২৪ ঘণ্টায় এক নারীসহ আরও তিন জন সোয়াইন ফ্লুতে মারা গেছে। এ নিয়ে চলতি মৌসুমে এ রাজ্যে মোট ২৫ জন প্রাণ হারাল।

রাজ্যের সোয়াইন ফ্লু বিষয়ক মুখপাত্র ড. নরেন্দ্রনাথ হায়দ্রাবাদে গত সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪১৪।

মঙ্গলবার চণ্ডিগড়ে সব জেলার সিভিল সার্জনদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের পর স্বাস্থ্যবিষয়ক অতিরিক্ত মুখ্যসচিব রাম নিবাস এ তথ্য দেন। তিনি বলেন, সোয়াইন ফ্লু আক্রান্তদের দ্রুত চিকিৎসা দিতে সব সিভিল সার্জনকে নির্র্দেশ দেয়া হয়েছে।

রাজস্থানে গত ২৭ দিনে সোয়াইন ফ্লুতে ২৭ জন প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া ১১৩ জনের শরীরে এ রোগের জীবাণু পাওয়া গেছে। দিল্লি সরকারের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরএন দাস বলেন, সোয়াইন ফ্লু আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ১৮টি নির্ধারিত হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী রয়েছে। এএফপি।

– See more at: http://www.jugantor.com/ten-horizon/2015/01/29/212158#sthash.iizknWoe.dpuf

চিকিৎসক: সেবিকাদের কর্মবিরতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে সেবিকাকে লাঞ্ছিত করা ও মারধরের ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার থেকে সেবিকারা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। গত সোমবার রাতে হাসপাতালে দায়িত্বরত জ্যেষ্ঠ সেবিকা মর্জিনা বেগমকে (৩২) এক রোগীর স্বজনেরা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এতে আহত ওই সেবিকা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শহরের কাউতলী এলাকার মাহবুবুল আলমের স্ত্রী হামিদা বেগম মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। সোমবার রাতে হামিদার স্বজনেরা ওই ওয়ার্ডের কর্তব্যরত জ্যেষ্ঠ সেবিকা মর্জিনার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে মর্জিনাকে তাঁরা মারধর করেন। খবর পেয়ে অন্য সেবিকারা ছুটে এসে গুরুতর আহত ওই সেবিকাকে উদ্ধার করেন। ওই রাতেই স্বজনেরা ওই রোগীকে হাসপাতাল থেকে অন্যত্র নেন। এদিকে এ হামলার প্রতিবাদে গতকাল থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন সেবিকারা। এ কারণে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হওয়ায় রোগীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
সেবিকাদের তত্ত্বাবধায়ক শংকরী রানী কর্মকার বলেন, জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত তাঁরা কাজে যোগ দেবেন না।

http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/436090/%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF

পাইলস:সমস্যা যখন পাইলস

অধ্যাপক ডা. একে এম ফজলুল হক

প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি, ২০১৫

পাইলস বলতে মলদ্বারের আশপাশের রক্তনালী ফুলে ব্যথার সৃষ্টি হওয়া বোঝায়। এটি মলদ্বারের ভেতরে কিংবা বাইরে হতে পারে। ব্যথা, চুলকানি বা রক্তপাত হতে পারে। এটি অস্বস্তিকর এবং অসহনীয় সমস্যা।

কারণ

* যারা শাক-সবজি বা পানি কম খান তারা দীর্ঘদিন কোষ্টকাঠিন্যে ভুগতে পারেন। এ থেকে পাইলসের উৎপত্তি হতে পারে।

* অতিরিক্ত ওজন পাইলস হওয়ার আশংকা বাড়িয়ে দেয়।

* গর্ভাবস্থার শেষের দিকে অনেকে পাইলসের সম্মুখীন হতে পারেন। বাচ্চার গ্রোথের সঙ্গে সঙ্গে মলদ্বারে চাপ পড়ে পাইলস হয়।

* পায়ুপথে যৌনমিলনে অভ্যস্ততা পাইলসের সূত্রপাত ঘটাতে পারে।

* বয়সের সঙ্গে পায়ুপথের পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। যাদের পরিবারে পাইলস হওয়ার ইতিহাস আছে, তারা বৃদ্ধ বয়সে পাইলসের সম্মুখীন হতে পারেন। তাই জীবনের প্রথম থেকে হেলদি খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন।

পাইলস রোগ হলে যে খাবার এড়িয়ে চলতে হবে

* পাস্তা, ক্র্যাকার, ভাত, বিস্কুট, রুটি ইত্যাদিতে আঁশ কম থাকে। ধরুন আপনি একবেলার খাবারে নিয়মিত পাস্তা খান বা এক প্যাকেট বিস্কুট খান বা অল্প পরিমাণ সবজি দিয়ে বা সবজি ছাড়া প্রচুর পরিমাণে রুটি বা ভাত খান- এ ধরনের খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত থাকলে আপনার শরীরে আঁশ গ্রহণ কম হবে। ফলে কোষ্টকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। কোষ্টকাঠিন্য তথা পাইলস নিরোধে কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে আঁশের অনুপাত ঠিক থাকতে হবে।

* ফ্যাটি ও উচ্চ সুগারযুক্ত খাবার নিয়মিত গ্রহণের অভ্যাস ও কোষ্টকাঠিন্য তথা পাইলস ঘটাতে পারে। যেমন- গরুর মাংস, চিজ, মাখন, ফ্রাইড খাবার, চকোলেট, আইসক্রিম, কোমল পানীয় ইত্যাদি।

করণীয়

ব্যায়াম : ব্যায়ামের মাধ্যমে কোষ্টকাঠিন্য রোগ থেকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে মুক্তি পাওয়া যায়। এর ফলে পাইলস হওয়ার আশংকাও কমে যায়। মাটিতে সোজা শুয়ে পড়ুন, পা মাটিতে মেশানো থাকবে, পায়ের পাতা ছাদমুখী থাকবে। এবার পেটের পেশি ভেতরের দিকে টেনে ধরে আস্তে আস্তে শ্বাস নিন ও ডান পা আস্তে আস্তে দূরে নিন। যত দূর পারেন করুন, এর পর শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পা আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনুন। এরপর বাম পা ব্যবহার করে একই ব্যায়াম করুন।

পাইলস হলে যত্ন

মলদ্বারের পার্শ্ববর্তী অঞ্চল যথাসম্ভব পরিষ্কার রাখুন। সুতি ও ঢিলেঢালা অন্তর্বাস পরিধান করুন। অন্তর্বাসের ভেতরে নরম প্যাড ব্যবহার আপনাকে স্বস্তি দেবে। মাঝে মাঝে sitz bath নিন। এর অর্থ হল কুসুম গরম পানিতে কোমর পর্যন্ত ডুবিয়ে বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকা। ডাক্তারের পরামর্শে পাইলসে ক্রিম লাগান। পাইলসে মাঝে মাঝে বরফ প্রয়োগ করতে পারেন।

– See more at: http://www.jugantor.com/stay-well/2015/01/24/209606#sthash.xFaLHfmo.dpuf

চিকিৎসা:বিএসএমএমইউতে সর্বাধুনিক ব্রংকোসকপি মেশিনের উদ্বোধন

সোমবার, ২৬ জানুয়ারি ২০১৫

Untitled-1কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)’র কেবিন ব্লকের ২য় তলায় ২২২ নম্বর রুমে সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসপাইরেটরি মেডিসিন বিভাগের উদ্যোগে বক্ষব্যাধি রোগীদের রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসাসেবার জন্য সর্বাধুনিক ব্রংকসকপি (ইৎড়হপযড়ংপড়ঢ়ু) মেশিন চালু হয়েছে। এরফলে বিএসএমএমইউ’র রেসপাইরেটরি (বক্ষব্যাধি) ইউনিটের চিকিৎসাসেবার মান ও সেবা আরো উন্নত হবে বলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও রোগীরা মনে করছেন।
বিএসএমএমইউ এর উপাচার্য অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত মেশিনটির উদ্বোধন করেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মোঃ রুহুল আমিন মিয়া, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুল মজিদ ভূঁইয়া, ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এমএ জলিল চৌধুরী, রিউমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও ব্যক্ষব্যাধি (রেসপাইরেটরি) বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোঃ জিলন মিয়া সরকার, বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. শামীম আহমেদ, ডা. রাজাশীষ চক্রবর্তী প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, ব্রংকসকপি মেশিন চালু হওয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্ষব্যাধি রোগীরা স্বল্পমূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারবেন। সবচেয়ে বড় কথা হলো সংশ্লিষ্ট রোগীদের এসব পরীক্ষার জন্য বাইরে যেতে হবে না। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাসেবার মান ও রোগীদের আস্থা উভয়ই বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমাদেরকে দেশের রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের বিশেষ করে সেভেন সিসটার্স রোগীদের আকৃষ্ট করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও ব্যক্ষব্যাধি (রেসপাইরেটরি) বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, ব্রংকসকপি মেশিন চালু হওয়ায় ফুসফুসের জটিল রোগ যেমনÑফুসফুসের ক্যান্সার, যক্ষ্মা, পুঁজজমা, নিউমোনিয়া, রক্তক্ষরণ, সংক্রমণ, আইএলডি ইত্যাদি রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসাসেবা প্রদান সম্ভব হবে।

http://www.bkagoj1.com/online/2015/01/26/42200.php
এদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের পেছনে মাঠের ভেতর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের জন্য একটি ক্যান্টিনেরও উদ্বোধন হয়।

– See more at: http://www.bkagoj1.com/online/2015/01/26/42200.php#sthash.aQBieSFw.dpuf

মৃত্যুঝুঁকি কমাবেন যেভাবে

মৃত্যুঝুঁকি কমাবেন যেভাবেশীর্ষ নিউজ ডটকম, ঢাকা : দৈনিক মাত্র ২০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করলে  অকালমৃত্যুর ঝুঁকি অনেকখানি কমিয়ে আনা সম্ভব। সাম্প্রতিককালে যুক্তরাজ্যর একদল গবেষক এমন তথ্য জানিয়েছে।

তাদের মতে, ২০ মিনিট হাঁটার উপকারিতা প্রায় প্রতিদিন ব্যায়াম করার মতোই। এটির মাধ্যমে  ১৬ থেকে ৩০ শতাংশ অকালমৃত্যুর হার কমিয়ে আনা যেতে পারে।

ইউরোপের ১২ বছরের বেশি বয়সী  ৩ লাখ ৩৪ হাজার নারী-পুরুষ এ গবেষণায় অংশ নেন।

– See more at: http://www.sheershanews.com/2015/01/17/65453#sthash.JsIjUohc.dpuf

কুষ্ঠরোগ নির্মূলে সমাজ সচেতনাই যথেষ্ট

কুষ্ঠ মানবসভ্যতার একটি প্রাচীন রোগ। প্রায় ৪ হাজার বছর আগের ইতিহাসে মিসর, চিন ও ভারতে এ রোগের উল্লেখ রয়েছে। জানুয়ারির শেষ রোববার ‘বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস’ পালন করাও হয়ে থাকে। জনসাধারণকে এ রোগ সম্পর্কে সচেতন, কুষ্ঠ নিরাময় ও প্রতিরোধে সম্পৃক্ত করতেই দিবসটি পালন করা হয়। অজ পর্যন্ত কুষ্ঠ পৃথিবীব্যাপী জনসাস্থ্যের জন্য হুমকি হিসেবে বিরাজ করছে। এটি নির্মূল ও প্রতিরোধে কাজ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আক্রান্ত দেশগুলো। বিশ্বব্যাপী প্রায় শূন্য দশমিক ৩ মিলিয়ন মানুষ এ রোগে আক্রান্ত। এছাড়া প্রতিনিয়ত কেউ না কেউ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন। ভয়, কুসংস্কার ও লজ্জার কারণে আক্রান্তরা এটি প্রকাশ করতে চান না বা চিকিৎসা গ্রহণে কুণ্ঠাবোধ করেন।
লক্ষণ : এ রোগের জীবাণু সাধারণত ত্বক ও ত্বকের নিকটবর্তী স্নায়ুকলা আক্রান্ত করে। আক্রান্ত স্থান অপেক্ষাকৃত বিবর্ণ হয়ে থাকে এবং ম্যাকুউল, প্যাপিউল, নোডিউল বা প্লেক আকারে দেখা দিতে পারে। স্নায়ু আক্রান্ত হলে স্থানটি অবশ থাকে।
যেভাবে ছড়ায় : আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে ত্বক ও শ্বাসনালির মাধ্যমে ছড়াতে পারে এ রোগ। আক্রান্ত মায়ের বুকের দুধের মাধ্যমে শিশুর দেহে সংক্রমিত হতে পারে।
জটিলতা : আক্রান্ত স্থানভেদে জটিলতার পার্থক্য আছে। হাত, পা বিকলাঙ্গ হতে পারে। চোখ নাড়ানোর ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়। অনুভূতি কমে যাওয়ার কারণে আগুনে পোড়া বা অন্য কোনো দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
চিকিৎসা : আমাদের দেশে বিনামূল্যে এ রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। সময়মতো ওষুধ গ্রহণ করলে কোনো জটিলতা থাকে না। তবে জটিলতার কারণে শল্যচিকিৎসা ও ফিজিওথেরাপির প্রয়োজন হতে পারে।
প্রতিরোধ : রোগী ও সমাজ সচেতনতার মাধ্যমে অনেকাংশেই এ রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। অন্যদের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা করবেন না। বিছানা, পরিধেয় বস্ত্র ও প্রসাধনী আলাদা করে রাখুন। হাঁচি, কাশি দেওয়ার সময় অবশ্যই রুমাল ব্যবহার করুন। চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। পূর্ণ চিকিৎসা গ্রহণ করুন। সতর্কভাবে চলাফেলা করুন। বিশেষ করে আগুন থেকে দূরে থাকুন।
-এম আর করিম রেজা
কনসালট্যান্ট
চর্ম, অ্যালার্জি ও কসমেটিকজনিত রোগ
মেডিকেয়ার, শাহজাদপুর, ঢাকা

– See more at: http://www.dainikamadershomoy.com/2015/01/25/188997.html#sthash.xVLCPRSS.dpuf

পোড়া রোগীর পুনর্বাসনে ফিজিওথেরাপি

আমাদের দেশে পুড়ে যাওয়া রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, বিশেষ করে সম্প্রতি রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গাড়িতে পেট্রোবোমায় আক্রান্ত হয়ে। এছাড়া বিভিন্ন গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি ও কলকারখানা বা অফিস অথবা   বাড়িতে প্রতিনিয়তই  ঘটছে  বিভিন্ন  দুর্ঘটনা। ফলে আগুনে পোড়া  রোগীর সংখ্যা  আরও বাড়ছে । এই পোড়া রোগীদের একটি জটিলতা  হলো মাংসপেশির সংকোচন। তাই আক্রান্ত অঙ্গটি অকোজো হয়ে পড়ে। এই মাংসপেশির সংকোচন প্রতিরোধে প্রয়োজন সঠিক ফিজিওথেরাপি  চিকিৎসা। এখানে কোনো ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক রোগীর অবস্থার ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন স্ট্রেটিং এক্সারসাইজ বা ব্যায়াম ও অর্থোটিকস কিংবা প্রস্থেসিসের মাধ্যমে রোগীকে পুনর্বাসন সহায়তা করে থাকেন। এ জন্য চাই, দীর্ঘমেয়াদি ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা, কিছু েেত্র অপারেশনের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু অপারেশনের আগে ও পরে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এ জন্য রোগীকে পুনর্বাসনে চাই সমন্বিত চিকিৎসা।
-ডা. এম. ইয়াছিন আলী
বাত, ব্যথা, প্যারালাইসিস ও ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ
ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল, ধানম-ি, ঢাকা

– See more at: http://www.dainikamadershomoy.com/2015/01/25/188994.html#sthash.DHG8zSvd.dpuf