ব্লাড ক্যান্সার রোগীদের আশার নতুন আলো ‘আইব্রুটিনিব’

বিশ্বের হাজার হাজার ব্লাড-ক্যান্সার রোগীর জন্য আশার আলো জাগাচ্ছে নতুন একটি পিল বা বড়ি। ‘আইব্রুটিনিব’ নামের নতুন এ ওষুধটি অচিরেই বাজারে ছাড়া হবে। যারা লিউকেমিয়া ও লিম্ফোমা জাতীয় দূরারোগ্য ব্লাড ক্যান্সারের চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত, তাদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হবে ওষুধটি। তবে ‘আইব্রুটিনিব’ উৎপাদনকারী বিখ্যাত ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ‘জ্যানসেন’ বলছে, এ দুটি বিশেষ ধরন ছাড়াও আরও বেশ কয়েক ধরনের ক্যান্সারের চিকিৎসায় কার্যকর ওষুধটি। আইব্রুটিনিব ওষুধের মাসিক একটি কোর্স সম্পন্ন করতে ব্যয় হবে ৪,০০০ ডলার বা বাংলাদেশী মুদ্রায় ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা। এ খবর দিয়েছে বৃটেনভিত্তিক সংবাদপত্র মিরর। বর্তমানে আইব্রুটিনিব ওষুধটি ‘ইমব্রুভিকা’ নামে বাজারজাত করা হচ্ছে। যে রোগীরা দূরারোগ্য লিম্ফোসাইটিক লিউকেমিয়া (সিএলএল) বা রিফ্র্যাক্টরি ম্যান্টল সেল লিম্ফোমায় (এমসিএল) ভুগছেন, তাদের চিকিৎসায় এটি ব্যবহৃত হবে। সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বৃটেনে প্রতি বছর ২,৮০০ রোগীর দেহে সিএলএল ও ৫০০ রোগীর দেহে এমসিএল রোগের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। রয়্যাল মার্সডেন হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ক্লেয়ার ডিয়ার্ডেন নতুন এ ওষুধটি দূরারোগ্য লিম্ফোটিক লিউকেমিয়া ক্যান্সার চিকিৎসায় পরিবর্তন আনবে এবং তা রোগী ও তাদের পরিবারবর্গের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে কেমোথেরাপি ছাড়া খুব অল্প সংখ্যক চিকিৎসা রয়েছে এই ক্যান্সারের। কিন্তু, সেগুলোরও বিশেষ পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া রয়েছে এবং তা সব রোগীর জন্য উপযোগীও নয়।

বয়স্কদের অ্যাজমার আধুনিক চিকিৎসা

imagesসারা বিশ্বের প্রায় ১০ কোটি লোক শ্বাসনালরি সচরাচর সমস্যা-অ্যাজমায় আক্রান্ত হয়। তাদের ৯০% এরও বেশি অত্যাধুনিক চিকিৎসা পায় না এবং অনেক রোগী মারা যায় যদিও এ মৃত্যুর ৮০% প্রতিরোধ করা সম্ভব যদি আধুনিক চিকিৎসা ও ডাক্তারের তদারকির মাধ্যমে অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণের শিক্ষা দেয়া যায়।
অ্যাজমা ব্যাপারটা কি?
অ্যাজমা বা হাঁপানি আসলে শ্বাসনালীর অসুখ। যদি কোন কারণে শ্বাসনালীগুলো অতিমাত্রায় সংবেদনশীল (হাইপারসেনসিটিভ) হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন ধরনের উত্তেজনায় উদ্দীপ্ত হয় তখন বাতাস চলাচলের পথে বাধার সৃষ্টি হয়, ফলে শ্বাস নিতে বা ফেলতে কষ্ট হয়। কেন হয়?
জেনেটিক পরিবেশগত কারণে কারও কারও বেশি হয়ে থাকে। ঘর-বাড়ির ধুলো ময়লায় মাইট জিবাণু, ফুলের বা ঘাসের পরাগ রেণু, পাখির পালক, জীব-জন্তুর পশম, ছত্রাক, কিছু কিছু খাবার, কিছু কিছু ওষুধ, নানারকম রাসায়নিক পদার্থ ইত্যাদি থেকে এলার্জিজনিত অ্যাজমা হয়ে থাকে।
কাদের হতে পারে হাঁপানি?
যে কোন বয়সের স্ত্রী, পুরুষ, শিশু-কিশোর যে কারো হতে পারে। যাদের রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়দের হাঁপানি আছে তাদের এ রোগ হবার আশঙ্কা প্রবল। আবার দাদা-দাদীর থাকলে (বাবা-মা’র না থাকলেও) নাতি-নাতনী বা তাদের ছেলেমেয়েরা এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। পিতৃকুলের চেয়ে মাতৃকুল থেকে হাঁপানিতে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা বেশি থাকে।
অ্যাজমাতে কেন এই শ্বাস কষ্ট?
আমাদের শ্বাসনালীগুলো খুবই ক্ষুদ্র। ২ মি.মি. থেকে ৫ মি.মি. ব্যাস বিশিষ্ট। চারদিকে মাংসপেশি পরিবেষ্টিত। এই ক্ষুদ্র শ্বাসনালীর ভেতর দিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় খুব সহজেই বাতাস আসা-যাওয়া করতে পারে। যদি কখনো এলার্জিক বা উত্তেজক কোন জিনিস শরীরে প্রবেশ করে তখন শ্বাসনালীর মাংস পেশীগুলো সংকুচিত হয়। ফলে শ্বাসনালী সরু হয়ে যায়। তাছাড়া উত্তেজক জিনিসের প্রভাবে শ্বাসনালীর গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয় আঠালো মিউপাস জাতীয় কফ, আর ইনফেকশনের কারণে শ্বাসনালীর ভেতরের দিককার মিউকাস আবরণী আঠাল কফ উঠিয়ে ফেলার লক্ষ্যে অনবরত কাশি হয়ে থাকে। কখনো কখনো এই শ্বাসনালী এত সরু হয় যে, বাতাস বায়ুথলিতে পৌঁছয় না, তখন শরীরে অক্সিজেনের অভাব হয়। এটা খুবই মারাত্মক অবস্থা। এ অবস্থা বেশিক্ষণ স্থায়ী হলে অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যু ঘটতে পারে। অ্যাজমা কি ছোয়াছে রোগ? না, অ্যাজমা  ছোঁয়াচে রোগ নয়। পারিবারিক বা বংশগতভাবে অ্যাজমা হতে পারে। কিন্তু ছোঁয়াচে নয়। অ্যাজমায় আক্রান্ত মায়ের বুকের দুখ খেয়ে শিশুদের অ্যাজমায় আক্রান্ত হবার আশঙ্কা নেই। মায়ের সংস্পর্শ থেকেও হওয়ার আশঙ্কা নেই।
বংশগতভাবে অ্যাজমার ঝুঁকি কতটা? মাতৃকুলে হাঁপানি থাকলে তিনগুণ বেশি রিস্ক আর পিতৃকুলে হাঁপানি থাকলে অনেকটা কম রিস্ক। মায়ের হাঁপানি থাকলে মোটামুটিভাবে বলায় তিন সন্তানের মধ্যে একটির হাঁপানি, একটির আপাত সুস্বাস্থ্য এবং একটির অস্বাভাবিক শ্বাসনালীর সংকোচন থাকতে পারে। শেষেরটির হাঁপানি না হয়ে সর্দি কাশির প্রবণতা থাকতে পারে।
কিভাবে এই রোগ চিহ্নিত করা যায়?
অ্যাজমা রোগের প্রধান উপসর্গ বা লক্ষণগুলো হলো-
* বুকের ভেতর বাঁশির মতো সাঁই সাঁই আওয়াজ * শ্বাস নিতে ও ছাড়তে কষ্ট * দম খাটো অর্থাৎ ফুসফুস ভরে দম নিতে না পারা * ঘন ঘন কাশি * বুকে আঁটসাঁট বা দম বন্ধ ভাব * রাতে ঘুম থেকে উঠে বসে থাকা
আপনার হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে বুঝবেন কিভাবে?
উপশমকারী ওষুধের পরিমাণ বাড়তে থাকা এবং ইনহেলার দ্বারা উপশম ৩-৪ ঘণ্টার বেশি যদি না থাকা। বাতে শ্বাসকষ্টে ঘুম ভেঙে যাওয়া স্বাভাবিক কাজকর্মে শ্বাসকষ্ট হওয়া। পিক ফ্লো ধীরে ধীরে কমা। এসব উপসর্গের উপস্থিতি মানে আপনার হাঁপানি আর নিয়ন্ত্রণে নেই। অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে কি বিপদ হতে পারে? মারাত্মক জটিল অ্যাজমা হতে পারে। স্থায়ী পুরনো অ্যাজমায় পরিবর্তন হতে পারে। স্থায়ী পুরনো অ্যাজমা থেকে হার্ট ফেলিউর হয়ে পানি আসতে পারে এবং রোগী শয্যাশায়ী হয়ে যেতে পারে। শরীরে সব সময় অক্সিজেন কম থাকতে পারে। তাই সবসময় অবসাদগ্রস্ত মনে হবে। অক্সিজেনের অভাবে স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে এবং অকালে নিজেকে বৃদ্ধদের মতো দুর্বল মনে হবে। ফুসফুসের অংশবিশেষ চুপসে যেতে পারে। নিউমোনয়াও হতে পারে। পায়ে পানি আসতে পারে। মুখ থেকে ছিটেফোঁটে রক্ত বেরিয়ে আসতে পারে। এক্ষেত্রে কাশি বন্ধ করার ওষুধটা দেয়া জরুরি।
মারাত্মকভাবে আক্রান্ত কিনা বুঝবেন কিভাবে? যখন উপশমকারী ইনহেলার ব্যবহার করে ৫-১০ মিনিটের ভেতর শ্বাসকষ্ট লাঘব হচ্ছে না তখন বুঝতে হবে আপনার হাঁপানি মারাত্মক অবস্থা ধারণ করতে যাচ্ছে। রোগীর সঠিক পর্যবেক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ কারণ অ্যাজমার উপসর্গ ও তীব্রতা পরিবর্তিত হয়, ফলে চিকিৎসা পরিবর্তেনের দরকার হয়। অ্যাজমার জন্য দায়ী এলারজেনের পরিবর্তন হতে পারে। অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি সময়ের সাথে পরিবর্তিত হতে পারে। নতুন সংযোজন, পুনঃপরীক্ষণ এবং তাগিদের দরকার হতে পারে।
* প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা কি?
* রক্ত পরীক্ষা : বিশেষ রক্তে ইয়োসিনোফিলের মাত্রা বেশি আছে কিনা তা দেখা। * সিরাম আইজিই’র মাত্রা: সাধারণত এলার্জি রোগীদের ক্ষেত্রে আইজিই’র মাত্রা বেশি থাকে। * স্কিন প্রিক টেস্ট : এই পরীক্ষায় রোগীর চামড়ার উপর বিভিন্ন এলার্জেন দিয়ে পরীক্ষা করা হয় এবং এই পরীক্ষাতে কোন কোন জিনিসে রোগীর এলার্জি আছে তা ধরা পড়ে। * প্যাচ টেস্ট : এই পরীক্ষায় রোগীর ত্বকের উপর করা হয় * বুকের এক্সরে : হাঁপানি রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসা শুরু করার আগে অবশ্যই বুকের এক্সরে-করে নেয়া দরকার যে অন্য কোন কারণে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে কি না। * স্পাইরোমেট্রি বা ফুসফুসের ক্ষমতা দেখা: এই পরীক্ষা করে রোগীর ফুসফুসের অবস্থা সম্পর্কে সঠিক ধারণা করা যায়।
অ্যাজমার জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসা?
উপশমকারী ওষুধ ৫-১০ মিনিট পর আবার নিতে হবে। নিজেকে শান্ত রাখুন, স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে চেষ্টা করুন। যেভাবে বসলে আরাম লাগে সেভাবে বসুন। আপনার হাত হাঁটুর ওপরে রাখুন, যাতে সোজা হয়ে বসে থাকতে পারেন। শ্বাস তাড়াহুড়া করে নেবেন না, তাড়াহুড়া করে শ্বাস নিলোব সাদগ্রস্ত হয়ে যাবেন। যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তার বা সাহায্যকারীর শরণাপন্ন হোন। সমন্বিতভাবে এলার্জির চিকিৎসা হলো : * এলার্জেন পরিহার : হাঁপানির হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে সহজ পন্থা হলো যে জিনিসে এলার্জি তা যতদূর সম্ভব এড়িয়ে চলা। তাই অ্যাজমা রোগীদের প্রথমেই এলার্জি টেস্ট করে জানা দরকার তার কিসে কিসে এলার্জি হয়। * ওষুধ প্রয়োগ : নানা ধরনের হাঁপানির ওষুধ আছে। প্রয়োজন মতো ওষুধ ব্যবহার করে রোগী সুস্থ থাকতে পারেন সাধারণত দুই ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
ক) শ্বাসনালীর সংকোচন প্রসারিত করতে ওষুধ ব্যবহার করা ব্রস্কোডাইলেটর যেমন-সাববিউটামল, থিউফইলিন, ব্যামবুটারন। এ ওষুধগুলো টেবলেট, সিরাপ, ইনজেকশন, ইনহেলার হিসেবে পাওয়া যায়।
খ) প্রদাহ নিরময়ের ওষুধ যেমন-কর্টিকোস্টেরয়েড  বেকলোমেথাসন, ট্রাইঅ্যামসিনোলোন, ফ্লোটিকাসন এগুলো ইনহেলার রোটাহেলার, একুহেলার ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়ে থাকে এবং লিউকোট্রাইন নিয়ন্ত্রক- মন্টিলুকাস্ট, জাফিরলুকাস্ট ব্যবহার করা। * এলার্জি ভ্যাকসিন বা ইমুনোথেরাপি : এলার্জি দ্রব্যাদি এড়িয়ে চলা ও ওষুধের পাশাপাশি ভ্যাকসিনও অ্যাজমা রোগীদের সুস্থ থাকার অন্যতম চিকিৎসা পদ্ধতি। এ পদ্ধতি ব্যবহারে কর্টিকোস্টেরয়েডের ব্যবহার অনেক কমে যায়। ফলে কর্টিকোস্টেরয়েডের বহুল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে রেহাই পাওয়া যায়। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে, বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোতে এ পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে। বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই ভ্যাকসিন পদ্ধতির চিকিৎসাকে এলার্জিজনিত অ্যাজমা রোগের অন্যতম চিকিৎসা বলে অভিহিত করেন। এটাই অ্যাজমা রোগীদের দীর্ঘমেয়াদি সুস্থ থাকা একমাত্র চিকিৎসা পদ্ধতি। আগে ধারণা ছিল অ্যাজমা একবার হলে আর সারে না। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসা ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। প্রথম দিকে ধরা পড়লে এলার্জিজনিত অ্যাজমা রোগ একেবারে সারিয়ে তোলা সম্ভব। অবহেলা করলে এবং রোগ অনেক দিন ধরে চলথে থাকলে নিরাময় করা কঠিন হয়ে পড়ে। বর্তমানে এলার্জিজনিত অ্যাজমা রোগের ভ্যাকসিনসহ উন্নত চিকিৎসা আমাদের দেশেই হচ্ছে।
ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস
দি এলার্জি এন্ড অ্যাজমা সেন্টার
৫৭/১৫ পান্থপথ, ঢাকা
ফোন : ৮১২৯৩৮৩
মোবাইল : ০১৭২১৮৬৮৬০৬।

– See more at: http://www.dailyinqilab.com/2015/02/04/237605.php#sthash.B5GI6PS3.dpuf

বিশ্ব ক্যান্সার দিবস

আজ ৪ ফেব্র“য়ারি, বিশ্ব ক্যান্সার দিবস। বাংলাদেশে দিবসটি গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘সমাধান আমাদের নাগালে’। ক্যান্সার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশে এ সম্পর্কিত বিভিন্ন আলোচনা সভা, শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে। জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল দিবসটি উপলক্ষে পোস্টার ও ফেস্টুন প্রদর্শনী, আলোচনা সভা. ক্যান্সার রোগী ও সারভাইভারদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দিবসটি পালন উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

আত্মহত্যা:নিদ্রাহীনতা থেকেই আত্মহত্যা প্রবণতা!

মনোকথা ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
Decrease font

ঢাকা: নিদ্রাহীনতার সঙ্গে মাদকাসক্তির সম্পর্কের বিষয়টি প্রমাণিত হলেও নিদ্রাহীনতার সঙ্গে আত্মহত্যাপ্রবণ হওয়ার সম্পর্কের বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন মনোবিজ্ঞানীরা। লিঙ্গভেদে এই প্রবণতার ঝুঁকি পরিবর্তন হয়।

সম্প্রতি প্রকাশিত একটি জার্নালে গবেষকরা বলছেন, পর্যাপ্ত ঘুম আত্মহত্যাপ্রবণ হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে আনে, এমনকি যারা মদ্যপায়ী তাদের ক্ষেত্রেও।

এতে বলা হয়, নিদ্রাহীনতা ও আত্মহত্যাপ্রবণতা নারীদের ক্ষেত্রে বেশি। তবে পুরুষের ক্ষেত্রে মদ্যপায়ী হলেও আত্মহত্যাপ্রবণ হওয়ার ক্ষেত্রে সরাসরি কোনো প্রভাব পড়ে না, যদিও মদ্যপান নিদ্রাহীনতা ও আত্মহত্যা প্রবণতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

মিসিসিপি স্টেট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ও প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর মাইকেল নাডর্ফ বলেন, এ ধরনের রোগীদের নিদ্রাহীনতার চিকিৎসা করা হলেই বিষয়টি প্রমাণ হয়ে যাবে। যদিও এ নিয়ে প্রত্যক্ষ পরীক্ষা করার সুযোগ নেই।

গবেষণায় ৩৭৫ জন শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। দক্ষিণ-পূর্ব আমেরিকার একটি পাবলিক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা অনলাইনে কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন।

দ্য সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এর মতে, অত্যাধিক মদ খাওয়ার কারণে আমেরিকায় প্রতি বছর প্রায় ৮৮ হাজার মানুষ মারা যান। একইসঙ্গে আমেরিকায় মৃত্যুর ১০টি উল্লেখযোগ্য কারণের মধ্যে আত্মহত্যা একটি।

http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/356869.html

গর্ভাবস্থায় যে খাবার খাবেন না

images

কফি অথবা ক্যাফেইন যুক্ত পানীয় : পরীক্ষায় প্রমাণিত অতিরিক্ত পরিমাণ ক্যাফেইন গ্রহণ করলে গর্ভধারণের প্রাথমিক পর্যায়ে ভ্রুণ মারা যেতে পারে।

 মদ : গর্ভকালীন সময়ে মদ্যপান করলে গর্ভের সন্তানের স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হওয়াসহ সমূহ বিপদের আশংকা থাকে।

গভীর সমুদ্রের মাছ : টুনাফিশ, শার্কসহ অনেক নোনা পানির মাছে মাত্রাতিরিক্ত পারদ জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ বিদ্যমান থাকে যার বিষক্রিয়ায় গর্ভস্থ ভ্রুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

কাঁচা মাংস, কাঁচা ডিম, কেকবাটার, বারবিকিউ, সুশী (জাপানি খাবার), মেইওনাস, কাঁচা ডিম দিয়ে তৈরি মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার : এসব খাবারে সালমোনিলা নামক রাসায়নিক উপাদান এবং ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে যা গর্ভের সন্তানের জন্য মঙ্গলকর নয়।

অল্প রান্না করা মাংস অথবা সিদ্ধ করা মাংস : ভালোভাবে রান্না না করলে মাংসে ক্ষতিকর ‘ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া’ নষ্ট হয় না, যা গর্ভের ভ্রুণের জন্য বিপজ্জনক।

ডা. বেদৌরা শারমিন

– See more at: http://www.jugantor.com/stay-well/2015/01/31/213267#sthash.PzcbcY0k.dpuf

শিশুর জ্বর ও খিঁচুনি

ডা. রাবেয়া রহমান

 

আইসিডিডিআরবি অতিমাত্রায় জ্বরে ভুগছে এমন শিশুদের জ্বরজনিত খিঁচুনি সাধারণত দেখা যায়। যে শিশু কানের প্রদাহ, সংক্রমণ, ঠাণ্ডা, সর্দি, ইত্যাদিতে বেশি মাত্রায় ভুগে থাকে, সে শিশু জ্বরজনিত খিঁচুনিতে আক্রান্ত হয়। কিছু মারাত্মক সংক্রমণও এ খিঁচুনির কারণ হতে পারে, যেমন নিউমোনিয়া, মেনিনজাইটিস ইত্যাদি।

এ ধরনের খিঁচুনির ক্ষেত্রে কারণ শনাক্ত করে যদি চিকিৎসাসেবা দেয়া যায়, তবে, কোনো রকম স্থায়ী ক্ষতি ছাড়াই শিশুকে সুস্থ করা যায়।

জ্বরজনিত খিঁচুনি কেন ও কাদের হয়

শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয় এমন যে কোনো অসুখই এ ধরনের খিঁচুনির জন্য দায়ী। এটি কোনো অসুখ নয়, অন্য কোনো অসুখের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। কতগুলো রোগ আছে যেগুলো খিঁচুনির কারণ হিসেবে চিহ্নিত। যেমন-

* কানে প্রদাহ এবং সংক্রমণ

* সর্দি, কাশি ও ঠাণ্ডা লাগা

* ইনফ্লুয়েঞ্জা

* ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত কোনো অসুখ

* নিউমোনিয়া

* মেনিনজাইটিস

* কিডনির সংক্রমণ

সাধারণত ছয় বছর বয়সের আগে শতকরা ৩ জন শিশু এ ধরনের খিঁচুনিতে ভুগে থাকে। তবে, খিঁচুনি বেশি হতে দেখা যায় ১৮ মাস থেকে ৩ বছর বয়সের মধ্যে। সাধারণত ৬ মাস বয়সের নিচে এবং ৬ বছরের পর জ্বরজনিত খিঁচুনি কম হতে দেখা যায়। জ্বরজনিত খিঁচুনি ৩ ধরনের হতে পারে :

সাধারণ খিঁচুনি (২০ জন আক্রান্ত শিশুর মধ্যে ১৫ জনের ক্ষেত্রে) : এই ধরনের খিঁচুনিই সবচেয়ে বেশি ঘটে থাকে। শিশুর শরীর এতে লালচে রঙ ধারণ করতে পারে, শরীর শক্ত হয়ে যেতে পারে এবং শরীর আঁকাবাঁকা আকার ধারণ করতে পারে। তবে, এই অবস্থা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। কয়েক সেকেন্ড থেকে শুরু করে ৫ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয় না। শিশু কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘুমিয়ে যেতে পারে। জ্বর কমে গেলে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে শিশু সুস্থ বোধ করতে শুরু করে। এ খিঁচুনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বারবার ফিরে আসে না।

অল্প জটিল ধরনের খিঁচুনি (২০ জন শিশুর মধ্যে ৪ জনের ক্ষেত্রে) : এটিও সাধারণ খিঁচুনির মতো। তবে, এতে আরও কিছু উপসর্গ দেখা যেতে পারে, যেমন :

* খিঁচুনির স্থায়িত্ব ১৫ মিনিট কিংবা তার চেয়েও বেশি হতে পারে।

* ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একাধিকবার ঘটতে পারে।

* সারা শরীরে খিঁচুনি দেখা দিতে পারে।

* আংশিক খিঁচুনিও হতে পারে, যেমন শুধু এক পা কিংবা এক হাত।

জটিল ধরনের খিঁচুনি (২০ জন শিশুর মধ্যে ১ জনের ক্ষেত্রে) : এক্ষেত্রে খিঁচুনি সময়সীমা বেড়ে ৩০ মিনিট পর্যন্ত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে যা করা যেতে পারে তা হল :

* কখন খিঁচুনি শুরু হল তা খেয়াল করতে হবে।

* মাথার দিকটা নিচু রেখে শিশুকে শুইয়ে দিতে হবে।

* মুখে কোনো খাবার দেয়া যাবে না।

* খিঁচুনির সময় শিশুকে ঝাঁকানো যাবে না এবং শিশুকে বাঁকা করা যাবে না।

* খিঁচুনির সময় শিশুর মাথায় পানি ঢেলে এবং নরম সুতি-কাপড় ভিজিয়ে গা মুছে দেয়া উচিত এবং তাকে ঢিলেঢালা কাপড় পরানো উচিত।

প্রাথমিক চিকিৎসার পর কী করণীয়

শিশুকে ভালোমতো পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং নিুোক্ত উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে :

* একবার খিঁচুনির পর শিশুর অবস্থান উন্নতি না হলে।

* একবার খিঁচুনির পর যদি আবারও তা হতে থাকে।

* শিশুর যদি শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।

জ্বরজনিত খিঁচুনির চিকিৎসা

খিঁচুনি যদি নিজে থেকেই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ভালো হয়ে যায়, তবে, কোনো চিকিৎসার দরকার হয় না। তা না হলে :

* শিশুর গায়ের কাপড় আলগা করে দিতে হবে। ঘর গরম থাকলে শিশুর গায়ের সব কাপড় খুলে দেয়া যেতে পারে।

* PARACETAMOL SUPPOSITORY দিতে হবে।

* ঠাণ্ডা পানীয় পান করাতে হবে।

* জ্বরের আসল কারণ বের করে মূল রোগের চিকিৎসা করাতে হবে।

জ্বরজনিত খিঁচুনি কি বারবার ঘটতে পারে

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি একবারই ঘটে থাকে। তবে, প্রতি ১০ জন শিশুর মধ্যে অন্তত ৩ জনের ক্ষেত্রে জ্বরের সময় আবারও এটি হতে পারে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, জ্বরজনিত খিঁচুনি হয়েছিল এমন ১০ জন শিশুর ক্ষেত্রে পরবর্তীকালে প্রচণ্ড জ্বরের সময় তাদের আবারও দুই থেকে তিনবার খিঁচুনি হয়েছিল। এই খিঁচুনিতে পারিবারিক ইতিহাস একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কোনো স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে কি

সাধারণত এ রোগে কোনো স্থায়ী ক্ষতি হয় না। রোগ-পরবর্তী কোনো ক্ষতি ছাড়া পুরোপুরি ভালো হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে যে অসুখের কারণে খিঁচুনি হচ্ছে তার মাধ্যমে ক্ষতি হতে পারে। সেজন্য, যে কারণে জ্বর হচ্ছে তার চিকিৎসা করা জরুরি।

– See more at: http://www.jugantor.com/stay-well/2015/01/31/213263#sthash.LU4Vu9dK.dpuf

ডাক্তার-রোগীর সমস্যা বুঝতে চিকিৎসকরা সাবধান!

অ-অ+

চিকিৎসকদের জন্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য দিয়েছে নতুন এক গবেষণা। যে চিকিৎসকরা রোগীর বক্তব্য শোসার পর বলেন যে, তারা আসল সমস্যা বুঝতে পারেননি, তারা মূলত রোগীর সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে দিলেন। গবেষণায় বলা হয়, রোগীরা যখন চিকিৎসকের কাছ থেকে শোনেন যে, তিনি (চিকিৎসক) বুঝতে পারছেন না তার সমস্যার কথা, তখন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তারা।
ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব সাউদাম্পটন এর গবেষক ম্যাডি গ্রেভিলস-হ্যারিস তার গবেষণায় জানান, রোগীর সমস্যা চিকিৎসকের ধরতে না পারার আচরণে মানসিক ও দৈহিকভাবে ক্ষতি বয়ে আনতে পারে রোগীর। এতে করে রোগীর বর্তমান অবস্থা আরো খারাপের দিতে যেতে পারে।
গবেষক বলেন, চিকিৎসকের প্রতি রোগীদের বিশ্বাস ও আশা থাকে যে, তারা নিমিষেই তাদের যাবতীয় রোগ ধরতে পারবেন এবং এর সমাধানও তাদের কাছ রয়েছে। এর ব্যাত্যয় ঘটলে রোগীদের মনে ভয় ঢুকে যায়। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের কনসালটিং এর পদ্ধতি বদলানো প্রয়োজন।
এ গবেষণায় একটি ব্যাথা নিরাময় কেন্দ্রের রোগীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এদের অনেকেই তার রোগ এবং তার প্রতিকার নিয়ে সংশয়ে ভুগছেন। কারণ চিকিৎসকরা তাদের সমস্যাটি বুঝতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে মনে করছেন তারা। ডাক্তারদের এ ধরনের মনোভাবে রোগীর মনে ক্ষোভ জন্মে এবং চিকিৎসায় বিশ্বাস কমে যায়।
তাই কনসালটিংয়ের ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের আরো সাবধান হতে হবে। প্রয়োজনে এ জন্যে বিশেষ ট্রনিংয়ের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন বলেও মনে করেন ইউনিভার্সিটি অব এক্সিটার এর প্রফেসর পল ডিয়েপে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

– See more at: http://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2015/01/29/181380#sthash.rQBz56y7.dpuf

সােয়াইন ফ্লু-ভারতে সোয়াইন ফ্লু মৃত ৩৩

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি, হরিয়ানা ও তেলেঙ্গানায় আরও ৭০ জন সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছে এবং এতে এখন পর্যন্ত ৩৩ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।

দিল্লিতে মঙ্গলবার নতুন করে ২৬ জন সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর রাজধানীতে সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ২৮৫ জন হয়েছে। হরিয়ানায় ৪১ জন সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছে এবং সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। তেলেঙ্গানায় গত ২৪ ঘণ্টায় এক নারীসহ আরও তিন জন সোয়াইন ফ্লুতে মারা গেছে। এ নিয়ে চলতি মৌসুমে এ রাজ্যে মোট ২৫ জন প্রাণ হারাল।

রাজ্যের সোয়াইন ফ্লু বিষয়ক মুখপাত্র ড. নরেন্দ্রনাথ হায়দ্রাবাদে গত সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪১৪।

মঙ্গলবার চণ্ডিগড়ে সব জেলার সিভিল সার্জনদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের পর স্বাস্থ্যবিষয়ক অতিরিক্ত মুখ্যসচিব রাম নিবাস এ তথ্য দেন। তিনি বলেন, সোয়াইন ফ্লু আক্রান্তদের দ্রুত চিকিৎসা দিতে সব সিভিল সার্জনকে নির্র্দেশ দেয়া হয়েছে।

রাজস্থানে গত ২৭ দিনে সোয়াইন ফ্লুতে ২৭ জন প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া ১১৩ জনের শরীরে এ রোগের জীবাণু পাওয়া গেছে। দিল্লি সরকারের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরএন দাস বলেন, সোয়াইন ফ্লু আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ১৮টি নির্ধারিত হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী রয়েছে। এএফপি।

– See more at: http://www.jugantor.com/ten-horizon/2015/01/29/212158#sthash.iizknWoe.dpuf

চিকিৎসক: সেবিকাদের কর্মবিরতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে সেবিকাকে লাঞ্ছিত করা ও মারধরের ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার থেকে সেবিকারা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। গত সোমবার রাতে হাসপাতালে দায়িত্বরত জ্যেষ্ঠ সেবিকা মর্জিনা বেগমকে (৩২) এক রোগীর স্বজনেরা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এতে আহত ওই সেবিকা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শহরের কাউতলী এলাকার মাহবুবুল আলমের স্ত্রী হামিদা বেগম মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। সোমবার রাতে হামিদার স্বজনেরা ওই ওয়ার্ডের কর্তব্যরত জ্যেষ্ঠ সেবিকা মর্জিনার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে মর্জিনাকে তাঁরা মারধর করেন। খবর পেয়ে অন্য সেবিকারা ছুটে এসে গুরুতর আহত ওই সেবিকাকে উদ্ধার করেন। ওই রাতেই স্বজনেরা ওই রোগীকে হাসপাতাল থেকে অন্যত্র নেন। এদিকে এ হামলার প্রতিবাদে গতকাল থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন সেবিকারা। এ কারণে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হওয়ায় রোগীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
সেবিকাদের তত্ত্বাবধায়ক শংকরী রানী কর্মকার বলেন, জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত তাঁরা কাজে যোগ দেবেন না।

http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/436090/%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF

পাইলস:সমস্যা যখন পাইলস

অধ্যাপক ডা. একে এম ফজলুল হক

প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি, ২০১৫

পাইলস বলতে মলদ্বারের আশপাশের রক্তনালী ফুলে ব্যথার সৃষ্টি হওয়া বোঝায়। এটি মলদ্বারের ভেতরে কিংবা বাইরে হতে পারে। ব্যথা, চুলকানি বা রক্তপাত হতে পারে। এটি অস্বস্তিকর এবং অসহনীয় সমস্যা।

কারণ

* যারা শাক-সবজি বা পানি কম খান তারা দীর্ঘদিন কোষ্টকাঠিন্যে ভুগতে পারেন। এ থেকে পাইলসের উৎপত্তি হতে পারে।

* অতিরিক্ত ওজন পাইলস হওয়ার আশংকা বাড়িয়ে দেয়।

* গর্ভাবস্থার শেষের দিকে অনেকে পাইলসের সম্মুখীন হতে পারেন। বাচ্চার গ্রোথের সঙ্গে সঙ্গে মলদ্বারে চাপ পড়ে পাইলস হয়।

* পায়ুপথে যৌনমিলনে অভ্যস্ততা পাইলসের সূত্রপাত ঘটাতে পারে।

* বয়সের সঙ্গে পায়ুপথের পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। যাদের পরিবারে পাইলস হওয়ার ইতিহাস আছে, তারা বৃদ্ধ বয়সে পাইলসের সম্মুখীন হতে পারেন। তাই জীবনের প্রথম থেকে হেলদি খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন।

পাইলস রোগ হলে যে খাবার এড়িয়ে চলতে হবে

* পাস্তা, ক্র্যাকার, ভাত, বিস্কুট, রুটি ইত্যাদিতে আঁশ কম থাকে। ধরুন আপনি একবেলার খাবারে নিয়মিত পাস্তা খান বা এক প্যাকেট বিস্কুট খান বা অল্প পরিমাণ সবজি দিয়ে বা সবজি ছাড়া প্রচুর পরিমাণে রুটি বা ভাত খান- এ ধরনের খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত থাকলে আপনার শরীরে আঁশ গ্রহণ কম হবে। ফলে কোষ্টকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। কোষ্টকাঠিন্য তথা পাইলস নিরোধে কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে আঁশের অনুপাত ঠিক থাকতে হবে।

* ফ্যাটি ও উচ্চ সুগারযুক্ত খাবার নিয়মিত গ্রহণের অভ্যাস ও কোষ্টকাঠিন্য তথা পাইলস ঘটাতে পারে। যেমন- গরুর মাংস, চিজ, মাখন, ফ্রাইড খাবার, চকোলেট, আইসক্রিম, কোমল পানীয় ইত্যাদি।

করণীয়

ব্যায়াম : ব্যায়ামের মাধ্যমে কোষ্টকাঠিন্য রোগ থেকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে মুক্তি পাওয়া যায়। এর ফলে পাইলস হওয়ার আশংকাও কমে যায়। মাটিতে সোজা শুয়ে পড়ুন, পা মাটিতে মেশানো থাকবে, পায়ের পাতা ছাদমুখী থাকবে। এবার পেটের পেশি ভেতরের দিকে টেনে ধরে আস্তে আস্তে শ্বাস নিন ও ডান পা আস্তে আস্তে দূরে নিন। যত দূর পারেন করুন, এর পর শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পা আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনুন। এরপর বাম পা ব্যবহার করে একই ব্যায়াম করুন।

পাইলস হলে যত্ন

মলদ্বারের পার্শ্ববর্তী অঞ্চল যথাসম্ভব পরিষ্কার রাখুন। সুতি ও ঢিলেঢালা অন্তর্বাস পরিধান করুন। অন্তর্বাসের ভেতরে নরম প্যাড ব্যবহার আপনাকে স্বস্তি দেবে। মাঝে মাঝে sitz bath নিন। এর অর্থ হল কুসুম গরম পানিতে কোমর পর্যন্ত ডুবিয়ে বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকা। ডাক্তারের পরামর্শে পাইলসে ক্রিম লাগান। পাইলসে মাঝে মাঝে বরফ প্রয়োগ করতে পারেন।

– See more at: http://www.jugantor.com/stay-well/2015/01/24/209606#sthash.xFaLHfmo.dpuf