ডাক্তার-রোগীর সমস্যা বুঝতে চিকিৎসকরা সাবধান!

অ-অ+

চিকিৎসকদের জন্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য দিয়েছে নতুন এক গবেষণা। যে চিকিৎসকরা রোগীর বক্তব্য শোসার পর বলেন যে, তারা আসল সমস্যা বুঝতে পারেননি, তারা মূলত রোগীর সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে দিলেন। গবেষণায় বলা হয়, রোগীরা যখন চিকিৎসকের কাছ থেকে শোনেন যে, তিনি (চিকিৎসক) বুঝতে পারছেন না তার সমস্যার কথা, তখন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তারা।
ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব সাউদাম্পটন এর গবেষক ম্যাডি গ্রেভিলস-হ্যারিস তার গবেষণায় জানান, রোগীর সমস্যা চিকিৎসকের ধরতে না পারার আচরণে মানসিক ও দৈহিকভাবে ক্ষতি বয়ে আনতে পারে রোগীর। এতে করে রোগীর বর্তমান অবস্থা আরো খারাপের দিতে যেতে পারে।
গবেষক বলেন, চিকিৎসকের প্রতি রোগীদের বিশ্বাস ও আশা থাকে যে, তারা নিমিষেই তাদের যাবতীয় রোগ ধরতে পারবেন এবং এর সমাধানও তাদের কাছ রয়েছে। এর ব্যাত্যয় ঘটলে রোগীদের মনে ভয় ঢুকে যায়। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের কনসালটিং এর পদ্ধতি বদলানো প্রয়োজন।
এ গবেষণায় একটি ব্যাথা নিরাময় কেন্দ্রের রোগীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এদের অনেকেই তার রোগ এবং তার প্রতিকার নিয়ে সংশয়ে ভুগছেন। কারণ চিকিৎসকরা তাদের সমস্যাটি বুঝতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে মনে করছেন তারা। ডাক্তারদের এ ধরনের মনোভাবে রোগীর মনে ক্ষোভ জন্মে এবং চিকিৎসায় বিশ্বাস কমে যায়।
তাই কনসালটিংয়ের ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের আরো সাবধান হতে হবে। প্রয়োজনে এ জন্যে বিশেষ ট্রনিংয়ের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন বলেও মনে করেন ইউনিভার্সিটি অব এক্সিটার এর প্রফেসর পল ডিয়েপে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

– See more at: http://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2015/01/29/181380#sthash.rQBz56y7.dpuf

চিকিৎসক: সেবিকাদের কর্মবিরতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে সেবিকাকে লাঞ্ছিত করা ও মারধরের ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার থেকে সেবিকারা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। গত সোমবার রাতে হাসপাতালে দায়িত্বরত জ্যেষ্ঠ সেবিকা মর্জিনা বেগমকে (৩২) এক রোগীর স্বজনেরা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এতে আহত ওই সেবিকা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শহরের কাউতলী এলাকার মাহবুবুল আলমের স্ত্রী হামিদা বেগম মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। সোমবার রাতে হামিদার স্বজনেরা ওই ওয়ার্ডের কর্তব্যরত জ্যেষ্ঠ সেবিকা মর্জিনার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে মর্জিনাকে তাঁরা মারধর করেন। খবর পেয়ে অন্য সেবিকারা ছুটে এসে গুরুতর আহত ওই সেবিকাকে উদ্ধার করেন। ওই রাতেই স্বজনেরা ওই রোগীকে হাসপাতাল থেকে অন্যত্র নেন। এদিকে এ হামলার প্রতিবাদে গতকাল থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন সেবিকারা। এ কারণে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হওয়ায় রোগীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
সেবিকাদের তত্ত্বাবধায়ক শংকরী রানী কর্মকার বলেন, জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত তাঁরা কাজে যোগ দেবেন না।

http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/436090/%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF

চিকিৎসক:বাংলাদেশী চিকিৎসকের গবেষণাপত্রের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

Wed, 21 Jan, 2015 08:41:33 PM

নতুন বার্তা ডেস্ক

ঢাকা: চিকিৎসা গবেষণায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশী ছয় গবেষকের একটি গবেষণাপত্র। মানবদেহের হাড়ের ক্ষয় রোগের (এভাসকুলার নেকরোসিস-এভিএন) আধুনিক লেজার চিকিৎসার ওপর প্রণীত গবেষণাপত্রটি গবেষণাভিত্তিক আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইটে  (www.academia.edu) জায়গা করে নিয়েছে।

এর আগে মালয়েশিয়ান জার্নাল অব মেডিক্যাল অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল রিসার্চ এবং এশিয়ান বিজনেস কনসোর্টিয়ামের এবিসিজার্নালস-এ এটি প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি ও ফিনল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সম্মেলনেও গবেষণাপত্রটি স্বীকৃতি লাভ করে।
ঢাকার ইনস্টিটিউট অব লেজার সার্জারি অ্যান্ড হসপিটালের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

ঢাকার ইনস্টিটিউট অব লেজার সার্জারি অ্যান্ড হসপিটালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইয়াকুব আলীর নেতৃত্বে গবেষণাপত্রটি হাড়ের ক্ষয় রোগের (এভিএন) আধুনিক লেজার চিকিৎসা নিয়ে প্রণীত হয়। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন ডা. জাহাঙ্গীর এম সারোয়ার, ডা. মানস সি সরকার, ডা. এস হোসাইন, ডা. এন কায়েস, ডা. মোহাম্মদ এম রহমান এবং জার্মানির ডা. হ্যান্স হেইঞ্জ।

হাড়ের ক্ষয়রোগের (এভিএন) চিকিৎসায় অপারেশনের ক্ষেত্রে (হাড় ভেঙে যাওয়ার আগে) হাড় প্রতিস্থাপন (বোন গ্রাফট) করে অথবা প্রতিস্থাপন না করে কোর ডিকম্প্রেশন পদ্ধতিটি সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কোর-ডিকম্প্রেশন প্রযুক্তির নতুন আবিষ্কার লেজার কোর-ডিম্প্রেশন।

এভিএনের নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে এটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের স্বীকৃতি লাভ করে।  এ পদ্ধতিতে লেজার রশ্মির মাধ্যমে প্রয়োজন অনুযায়ী আক্রান্ত হাড়ে কোর বা ছিদ্র করা হয়। এতে হাড়ের অভ্যন্তরীণ চাপ কমে যায়। পরে এই  ছিদ্রের ভেতর দিয়ে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন (বোনমেরু সেল রিপ্লেসমেন্ট) করা হয়। লেজার স্টিমুলেশনের ফলে হাড়ে দ্রুত নতুন রক্তনালী তৈরি হয়। এতে এভিএন আক্রান্ত স্থানে রক্তপ্রবাহ দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পায় এবং অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের ফলে সহজেই হাড়ের নতুন কোষ বা বোন সেল তৈরি হয়। এ কারণে কাটা-ছেঁড়াহীন লেজার কোর-ডিকম্প্রেশন পদ্ধতির মাধ্যমে এভিএন আক্রান্ত রোগী দ্রুত আরোগ্য লাভ করেন।নতুন বার্তা/মোআ

http://www.natunbarta.com/health/2015/01/21/114660/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%80+%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0+%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A6%A3%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0+%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95+%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF

সাম্প্রতিক:সিওমেকের সাবেক প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. গোলাম মুয়ায্যাম এর ইন্তেকাল


বিশিষ্ট মাইক্রোবায়োলজিস্ট অধ্যাপক ডা. গোলাম মুয়ায্যাম গতকাল (২২শে জানুয়ারি) বিকেল ৩ : ৪৫ ঘটিকায় তাঁর একমাত্র কন্যা ও বড় সন্তান অধ্যাপক ডা.
নাঈমা মুয়ায্যাম এর গুলশানস্থ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহে রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বৎসর। তিনি প্রায় ১০
বৎসর যাবৎ আলজেইমার রোগে ভুগছিলেন। উল্লেখ্য, মরহুম ডা. মুয়ায্যাম বিশ্ববরেণ্য ইসলামী চিন্তাবিদমরহুম অধ্যাপক গোলাম আযম এর ছোট ভাই।
অধ্যাপক মুয়ায্যাম এদেশের একজন স্বনামধন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানী ছিলেন। ৪০ এর দশকের শেষে কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে স্বর্ণপদক পেয়ে ডাক্তারী পাস করার পর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ’ এ যোগদান করেন। পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি তিনি ইংল্যান্ড থেকে এমআরসিপ্যাথ (MRCPath) ডিগ্রি অর্জন করেন। দেশে ফিরে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে পুনরায় যোগদান করেন। এরপর তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজে অধ্যাপনা করেন। ১৯৬৬-৬৭ সালে তিনি লন্ডনস্থ Nuffield Foundation এর Fellow in Medicine ছিলেন। আইপিজিএমআর (বর্তমানে বিএসএমএমইউ) এর প্রতিষ্ঠালগ্নে তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজী বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি সিলেট মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ও পরে প্রিন্সিপাল এবং পরবর্তীতে রংপুর মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল এর দায়িত্ব পালন করেন। ৭০ এর দশকে তিনি লিবিয়াস্থ আল ফাতাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্যাথলজীর অধ্যাপক ছিলেন। ৭০ এর
দশকের শেষে এবং ৮০ এর দশকে তিনি Bahama Princess Margaret Hospital এবং Ghana University তে কমনওয়েল্থ এর এক্সপার্ট হিসেবে Prof of Pathology এর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকার ধানমন্ডিস্থ ইবনে সিনা ল্যাব এর প্রতিষ্ঠাতা ডাইরেক্টর। এছাড়া, কমনওয়েল্থ এর পরীক্ষক হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তিনি সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। একজন সফল চিকিৎসক এর পাশাপাশি তিনি একজন সফল লেখকও ছিলেন। ৫০ এর দশকে উনার লিখিত ‘কোরআন ও বিজ্ঞান’ বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানময় কোরআন নিয়ে লেখা একটি বিরল সৃষ্টি। ইসলামিক ফাউন্ডেশন রচিত “Scientific Indications in the Holy Quran” এর সংকলক ৫ জন সদস্যের তিনি অন্যতম। মৃত্যুকালে ডা. মুয়াযযাম ১ মেয়ে, ২ ছেলে, ৮ নাতি- নাতনি এবং বহু গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুমের মেয়ে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডা. নাঈমা মুয়ায্যাম ঢাকা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজী বিভাগের প্রধান ছিলেন। উনার
বড় ছেলে, সোহায়েল মুয়াযযাম, স্বপরিবারে লন্ডনে এবং ছোট ছেলে ডা. ফায়সাল মুয়াযযাম (জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা) স্বপরিবারে কানাডা বসবাস করেন। ২৩ জানুয়ারি, শুক্রবার বাদ জুমা মগবাজার কাজী অফিস লেনস্থ বায়তুল কুরআন জামে মসজিদের সামনে মরহুমের জানাযার নামায অনুষ্ঠিত হয়েছে।। জানাযা শেষে মসজিদ সংলগ্ন মরহুমের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।। পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের জন্য দোআ চেয়ে দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।। তিনি রামেক,সিওমেক ও রমেকের প্রিন্সিপাল ছিলেন।।

Mubarak Hossen Khan
23 January

ডাক্তার:ভালো ডাক্তার!

ডা. সুজন পাল
সেদিন হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে দেখি এক সত্তর পেরোনো বুড়ো চাচা ফুটপাতে দাঁড়িয়ে হা করে একজন ডাক্তারের নেমপ্লেট এর দিকে তাকিয়ে আছেন। হাবভাব আর বেশভূষা দেখে মনে হল, গ্রাম থেকে এসেছেন। ভাবলাম, একটু আলাপ করে দেখি, উনি কী ভাবছেন।
কাছে গিয়ে সালাম দিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, “কী দেখছেন চাচা?” চাচা উত্তর দিলেন, “ডাক্তর এর সাইনবোর্ড দেখি। ভাবতেছি, এরে দেখামু কি না।” আমি বললাম, “আপনি নিশ্চিন্তে উনাকে দেখাতে পারেন। উনি ভালো ডাক্তার।” উনি এবার আমার দিকে একটু ভালো করে চেয়ে দেখলেন। আমাকে তিনি সেই ডাক্তারের দালাল ভাবলেন কি না, কে জানে! তিনি বললেন, “আমারে শিখান লাইগবো না। কোনডা ভালো ডাক্তর আর কোনডা ভালো ডাক্তর না, আমি সেইডা ভালো বুঝি।” আমি এবার দ্বিগুণ উতসাহী হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, “চাচা, আমাকেও শিখান তো, কীভাবে বুঝব, কোন ডাক্তার ভালো?” উনি এবার হেডমাস্টার এর মত ভাব নিয়ে বলতে শুরু করলেন, “শুন, যে ডাক্তরের সাইনবোর্ড এ বেশি ডিগ্রি লেখা, সেইডা হইল গিয়া ভালো ডাক্তর। আর একটা উপায় আছে। যে ডাক্তরের সাইনবোর্ড এ এফসিপিএস লেখা থাকে, সেইডা ভালো ডাক্তর।”
এবার আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “তা আপনি সাইনবোর্ড দেখে কী বুঝলেন? এই ডাক্তারটা ভালো না খারাপ?” উনি বললেন, “এই ডাক্তর এর এফসিপিএস নাই। যদিও ডিগ্রি বেশি, তাও মনে হইতাছে, ভালো হইব না। “আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “চাচা, আপনি তো অনেক কিছু জানেন দেখি। আচ্ছা, আপনি কতদূর পড়াশোনা করেছেন?”
এবার উনি যা বললেন, আমি তা শোনার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না। উনি বললেন, “লেখাপড়া শিখি নাই। তয় এমবিবিএস আর এফসিপিএস ডিগ্রি দুইডা দেখলে চিনবার পারি!” বলে একইসাথে লজ্জা আর গর্বের সংমিশ্রণে একটা হাসি দিলেন। আর আমি হতবাক হয়ে ভাবলাম, আজব দেশের আজব জনগন। অ আ ক খ পারে না। অথচ এমবিবিএস আর এফসিপিএস ডাক্তার চেনে!

মেডি বিচিত্রা:জানুয়ারীতে ফাইনাল প্রফ দেবেন ৪৮ বছর বয়সী পৌঢ়!

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ১৯৮৫-৮৬ সেশনের এমবিবিএস ২৭ তম ব্যাচের ছাত্র কাজী শামসুল আলম (৪৮) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ফাইনাল প্রফ পরীক্ষা দিচ্ছেন আগামী জানুয়ারীতে। তিনি ১৯৯১ সালে প্রথমবার ফাইনাল প্রফ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। সফলতা লাভ করেন সার্জারী ও গাইনী বিষয়ে। মেডিসিনে ফেল করার পর আরও কিছু আনুষঙ্গিক ঘটনায় তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। এরপর তিনি তার নিজ বাড়ি টাঙ্গাইলে চলে যান। সেখানে তিনি অনেকটা স্বেচ্ছাবন্দী ছিলেন। মাঝে বেশ কয়েকবার ফিরে আসার চেষ্টা করলেও প্রতিবারই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয় তার প্রচেষ্টাগুলো। তার ব্যাচমেট রাজশাহী মেডিকেল কলেজের বর্তমান ভাইস প্রিন্সিপাল সহযোগী অধ্যাপক ডা. নওশাদ আলীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় তিনি এ বছর ক্যাম্পাসে ফিরে এসেছেন এবং প্রস্তুতি নিচ্ছেন আগামী জানুয়ারীতে ফাইনাল প্রফে অংশগ্রহণ করার। মেডি ভয়েসের শুভকামনা রইলো কাজী শামসুল আলমের প্রতি।

ক্যারিয়ার

বিসিএস স্বাস্থ্য (প্রফেশনাল/টেকনিক্যাল) ক্যাডারে নিয়োগঃ বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি
বিসিএসের মতো প্রবল প্রতিযোগিতার জন্য প্রয়োজন কুশলী প্রস্তুতি। কেমন হতে পারে সে প্রস্তুতির ধরণ, কিভাবে পার হতে হবে সেই সুকঠিন বৈতরণী, একটু একটু করে নিতে হবে সেরা প্রস্তুতিটুকু। এ বিষয়ে মেডি ভয়েসে লিখেছেন ৩৩ তম বিসিএস এ সেরাদের সেরা স্বাস্থ্য ক্যাডারে ৩য় স্থান অধিকারী ঢাকা মেডিকেল কলেজের কে-৬৪ ব্যাচের কৃতি ছাত্র ডা. ফিরোজ আহমেদ আল আমিন।
হাজারো প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বিসিএস হল বাংলাদেশে থেকে ডাক্তারদের জন্য অন্যতম সেরা চাকরি। নানা জন নানান রকম নেতিবাচক হতাশামূলক কথা বললেও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী চললে বিসিএসে থেকেই ক্যারিয়ার সবচেয়ে ভাল গোছানো যায়, বিশেষ করে সার্জারীতে যারা ক্যারিয়ার গড়বেন তাদের জন্য তো বিসিএস অপরিহার্য।
অনেকেই একটা ভ্রান্ত ধারণা পুষে রাখেন যে, আমরা ডাক্তার, এতদিন মেডিকেল সাইন্স নিয়ে পড়াশুনা করে এখন কিভাবে আবার বাংলা, ইংরেজি, অংক, সাধারণ জ্ঞান নিয়ে পড়ব। আসলে প্রস্তুতিটা একটু নিয়মমাফিক ও যতœশীলভাবে মাস দুয়েকের টার্গেটে নিলে খুব ভালভাবেই গুছিয়ে আনা সম্ভব বলেই আমার বিশ্বাস। বিসিএস প্রিলিমিনারী পরীক্ষাতে এতদিন ১০০ নম্বর থাকলেও, ৩৫তম বিসিএস হতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০০ তে। বিষয়গুলো হলো বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, ইংরেজী ভাষা ও সাহিত্য, সাধারণ জ্ঞানঃ বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক, ভূগোল- পরিবেশ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সাধারণ বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তি, গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা, নৈতিকতা মূল্যবোধ ও সুশাসন।
মোট ২০০টি প্রশ্ন। প্রতি সঠিক প্রশ্নে ১ নম্বর। ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে ০.৫ নম্বর।
এখন দেখে নেওয়া যাক, প্রিলিমিনারী জন্য আমাদের কোন ক্ষেত্রগুলোতে বিশেষ নজর রাখতে হবে।
– ন্যূনতম ২ মাস সময় দেয়া প্রয়োজন ভালোভাবে পুরো সিলেবাসটি শেষ করার জন্য। প্রতিদিন সামান্য একটু করে হলেও পড়া উচিত। আমাদের বিসিএস প্রিলি’র পাশাপাশি কারও উচ্চতর ডিগ্রী, কারও বা ট্রেনিং বা ক্যারিয়ার সম্পর্কিত চাপ থাকতে পারে। পরীক্ষার সময় বিশেষ করে প্রতি বিসিএসে যারা চলমান ব্যাচ, তারা থাকে ইন্টার্নী হিসাবে, যাদের ওয়ার্ডও চালাতে হয়, পরীক্ষাও দিতে হয়। সুতরাং, পরীক্ষার আগমুহুর্তের জন্য পড়া ফেলে না রেখে যথাসম্ভব আগেভাগেই কোর্স শেষ করে ফেলাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
– একজন পার্টনার নির্বাচনঃ অবশ্যই একজন জবধফরহম চধৎঃহবৎ থাকা ভাল, যাতে দ্রুত এই বিরক্তিকর ব্যাপারগুলো সম্পর্কে প্রস্তুতি নেওয়া যায়। তবে চধৎঃহবৎ একাধিক না হওয়াটাই যুক্তিযুক্ত।
– ভাল বই কেনাঃ বাজারে অনেক বই আছে, এর মধ্যে ভালো মানের বই বাছাই জরুরী। বিসিএস প্রিলিমিনারীর জন্য গচ৩, ঙৎধপষব, চৎড়ভবংংড়ৎ’ং সিরিজের বইগুলো তুলনামূলক ভালো।
– দূর্বল বিষয়ের উপর বিশেষ নজরঃ যে বিষয়ে দূর্বলতা আছে, সেই ঞড়ঢ়রপং টি নিয়ে বেশি কাজ করা প্রয়োজন। তবে এক্ষেত্রে কোন বিষয়ে অতিরিক্ত দূর্বল হলে নম্বরের সমানুপাতিক হারেই তার পেছনে শ্রম দেয়া উচিত। এক্ষেত্রে যে টপিকগুলো একটু বেশি সহজ সেই টপিকে নাম্বারগুলো নিশ্চিত করলে ফলাফল ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
– গাণিতিক যুক্তি নিয়ে বিশেষ কাজঃ বইয়ের সাহায্যে বা নিজে নিজেই চেষ্টা চালিয়ে ছোট ছোট সূত্র বের করা, যাতে অংক দেখেই সঠিক উত্তর দ্রুত বের করা যায়। তবে এক্ষেত্রে বার বার অনুশীলনের কোন বিকল্প নেই।
– বিজ্ঞান ও কম্পিউটার এর জন্য বিগত বছরের প্রশ্নাবলী থেকে ৮০ শতাংশ প্রশ্ন কমন পড়ে। সুতরাং বিগত বছরের প্রশ্নগুলো ভাল করে ঝড়ষাব করতে হবে।
– বিসিএস কোচিং করার বিশেষ কোন প্রয়োজনীয়তা নেই। তবে কোচিং করলে নিয়মমাফিক ভাবে প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ থাকে। তবে ডাক্তারদের ক্ষেত্রে কোচিং করাটা বেশ কঠিনই বটে। অন্তত শেষ সময়ে কিছু মডেল টেস্ট দিলে সময় কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা বাড়বে। এটা বেশ ফলদায়ক।
– পরীক্ষার কয়েক দিন আগ হতে সংক্ষিপ্ত সময়ে জবারংরড়হ এর জন্য বাজারে প্রচলিত ভালো কোন ডাইজেস্ট সিরিজ ব্যবহার করলে ভাল।
– সাধারণ জ্ঞানের জন্য সাম্প্রতিক বিষয়গুলোর (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক) দিকে নজর রাখতে হবে। তবে সাম্প্রতিক দিন তারিখ বিষয় প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা কম। আসলে সেটি হতে পারে ঐতিহাসিক বিষয়, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু বিষয়ক।
– পরীক্ষার হলে সময়ের দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
– সহজ প্রশ্নের উত্তর আগে নিশ্চিত করতে হবে।
– চান্স পাওয়ার জন্য কমপক্ষে ৭০-৮০ শতাংশ প্রশ্নের উত্তর দেয়া উচিত।
৩৫তম বিসিএ
সের ক্ষেত্রে নম্বর বণ্টন কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে। বেশ কিছু নতুন বিষয় যোগ হয়েছে। কিন্তু খেয়াল করলেই বুঝবেন, সার্বিকভাবে একই সিলেবাস একটু বিস্তারিতভাবে এসেছে। সর্বোপরি, একটু নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে প্রস্তুতি নিলে ডাক্তারদের জন্য বিসিএস প্রিলিমিনারী তে উত্তীর্ণ হওয়া খুবই সহজ।
সবার জন্য শুভ কামনা রইল। আল্লাহ হাফিজ।

ডাঃ ফিরোজ আহমেদ আল-আমিন
ধষধসরহথ৬৪@ুধযড়ড়.পড়স

চিকিৎসক ও রোগী: চিকিৎসক ও রোগী সুরক্ষা আইনের খসড়া তৈরী

আসছে চিকিৎসক ও রোগী সুরক্ষা আইন। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চিকিৎসক ও রোগী সুরক্ষা আইনের খসড়া পাঠানো হয় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে।
প্রস্তাবিত আইনটিতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্যসেবা দানকারী ব্যক্তি পেশাগত ও চিকিৎসা অবহেলায় যদি রোগীর জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়, তবে তার বিরুদ্ধে ৩ বছরের কারাদণ্ড বা ২ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে। তবে খসড়া আইনে বলা আছে, যদি ইচ্ছাকৃত অবহেলায় রোগীর স্থায়ী ক্ষতি বা মৃত্যু হয় তাহলে চিকিৎসা দানকারী ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারা প্রয়োগ করা হবে। দণ্ডবিধির এ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১০ বছরের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও জরিমানা করা যাবে।
এদিকে যদি উত্তেজিত হয়ে রোগীর লোকজন হাসপাতাল ভাঙচুর করে সেক্ষেত্রে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে। এক্ষেত্রে চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী চিকিৎসক বা অন্যদের অপরাধ আমল অযোগ্য ও জামিনযোগ্য করা হয়েছে। অথচ হাসপাতাল ভাঙচুরের অপরাধ আমলযোগ্য ও জামিন অযোগ্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ, বিএমডিসির অনুমতি ব্যতীত চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগ তুলেই পুলিশ চিকিৎসককে গ্রেফতার করতে পারবে না। গ্রেফতার হলেও জামিনের সুযোগ রাখার প্রস্তাব রয়েছে এখানে। এছাড়াও চিকিৎসাসেবা সম্পর্কিত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে আইনের খসড়াটিতে।

মেধাবী নিউরণ

1508562_203914986485419_1359478281_nমারিয়া কিবতিয়া হোসেন (দোলা)

২০১২ সালের জুলাই মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত ১ম প্রফেশনাল এম.বি.বি.এস. পরীক্ষায় ৫ম স্থান অধিকারিনী স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মারিয়া কিবতিয়া হোসেন (দোলা)। ক্যাম্পাসে নবাগত ১ম বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ১ম পেশাগত পরীক্ষার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে তার সাথে কথা হয় ‘মেডি ভয়েস’এর।

মেডি ভয়েসঃ কেমন আছেন?
দোলাঃ ভালো আছি।

মেডি ভয়েসঃ দুর্দান্ত রেজাল্টের জন্য ‘মেডি ভয়েস’ এর পক্ষ থেকে বিলম্বিত অভিনন্দন।

দোলাঃ আপনাদেরকেও বিলম্বিত ধন্যবাদ (হাসি)।

মেডি ভয়েসঃ প্রফের জন্য আপনি কিভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন?

দোলাঃ প্রথমে আমি তিনটি বিষয়ের জন্য সময় বন্টন করে পড়েছিলাম। শেষের দিকে আমি বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করেছিলাম।

মেডি ভয়েসঃ আপনার কি কোন রিডিং পার্টনার ছিল?

দোলাঃ জ্বি হ্যাঁ, ছিল। আর আমি মনে করি, এটা খুবই সহায়ক। কেননা এতে করে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন আপনি নিজেকে কতটুকু প্রস্তুত করেছেন এবং কোথায় কোথায় আপনার দুর্বলতা আছে। এছাড়া কারো সাথে মিলে পড়লে আপনি স্বস্তি বোধ করবেন।

মেডি ভয়েসঃ আচ্ছা, আপনি দৈনিক কত ঘন্টা পড়াশুনা করতেন?

দোলাঃ দেখুন সাধারণত আমি দিনে ৪-৫ থেকে ৬ ঘন্টা পড়তাম। তবে প্রফ পরীক্ষার পূর্বে আমি দৈনিক ১০ ঘন্টারও বেশি পড়াশোনা করেছি।

মেডি ভয়েসঃ আপনার কী মনে হয়, কলেজের লেকচার ফলো করা জরুরি?

দোলাঃ জ্বী! আমি মনে করি শুধুমাত্র লেকচার ক্লাসগুলোই আপনার ধারনাকে পূর্ণতা দিতে পারে এবং লেকচার ক্লাসগুলোর মাধ্যমে আপনি সহজেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো চিহ্নিত করতে পারবেন।

মেডিভয়েসঃ আপনি তো Place করলেন। তো আপনার মাঝে কি এমন আছে যা অন্যদের নেই?

দোলাঃ দেখুন আমার মাঝে কোনই স্পেশালিটি নেই (হাসি)। আমি শুধু নিয়মিত ক্লাস করেছি।

মেডি ভয়েসঃ অনেকেই গাইড বই ফলো করে। এটিকে আপনি কিভাবে দেখেন?

দোলাঃ দেখুন গাইড বইয়ে অনেক ভুল তথ্য থাকে। তাছাড়া মূল বই না পড়লে আপনি কখনোই একটি ক্লিয়ার আইডিয়া পাবেন না।

মেডি ভয়েসঃ Item-এ রেগুলার থাকাটা কি খুব জরুরি?

দোলাঃ হ্যাঁ, Item-এ রেগুলার থাকার দু’টো সুবিধা আছে। একঃ এতে করে পড়া জমে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। দুইঃ আপনি সহজেই শিক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন ।

মেডি ভয়েসঃ আপনার এই সাফল্যের পেছনে কাদের অবদান আছে বলে আপনি মনে করেন?

দোলাঃ আমার পিতামাতা আমাকে সবসময় সাপোর্ট দিয়েছেন। শিক্ষকেরাও দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। কাজেই আমি তাঁদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।

মেডি ভয়েসঃ ভালো রেজাল্টের জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি আর কি দরকার?

দোলাঃ ভালো উপস্থাপনা। শিক্ষকেরা শুধু আপনার জ্ঞান দেখেই সন্তুষ্ট হন না। তারা এটাও দেখতে চান যে কিভাবে আপনি সেটি উপস্থাপন করছেন।

মেডি ভয়েসঃ Anatomy তে ভালো করার জন্য আপনি কি পরামর্শ দেবেন?

দোলাঃ Hard Part এর জন্য প্রত্যেকটা Bone এর Gross Anatomy, Ossification, Radiology, Surface Anatomy এবং Relation গুলো ভালোভাবে পড়া উচিত। Soft Part এর জন্য প্রত্যেকটা Viscera এর Structure, Neurovascular Supply, Developmental Relations & Funcrtions গুলো পড়া জরুরি।

মেডি ভয়েসঃ বেসিক সাবজেক্টগুলো ক্লিনিক্যাল প্র্যাক্টিসে কতটা সহায়ক বলে মনে করেন?

দোলাঃ আসলে বেসিক সাবজেক্টগুলো হলো মেডিকেল কলেজের ভিত্তি। যে এগুলোকে ভালো করে আয়ত্ত করতে পারবে, সে ভবিষ্যতেও ভালো করবে বলেই আমার বিশ্বাস।

মেডি ভয়েসঃ ভবিষ্যতে কোন Subject এ ক্যারিয়ার করতে চান?

দোলাঃ আমার পছন্দ Internal Medicine. এটা নিয়েই পড়তে চাই।

মেডি ভয়েসঃ ‘মেডি ভয়েস’ সম্পর্কে কিছু বলুন।

দোলাঃ আসলে এ ধরনের একটি পত্রিকা খুবই দরকার ছিল। বিশেষ করে মেডিকেল স্টুডেন্টদের জন্য কথা বলার একটি প্ল্যাটফর্ম ছিল সময়ের দাবি। আমি ‘মেডি ভয়েস’ এর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।

মেডি ভয়েসঃ পড়াশোনার এত ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
দোলাঃ আপনাদেরকেও ধন্যবাদ।

আলেকজান্ডার ফ্লেমিং এবং পেনিসিলিন আবিষ্কারের পেছনের কাহিনী

সায়েন্টিস্ট রিভিউঃ

indexবিজ্ঞান মানুষের জীবনযাত্রার মানকে পাল্টে দিয়েছে। সবক্ষেত্রেই বিজ্ঞানের অবদান উল্লেখযোগ্য। প্রকৃতপক্ষে বিজ্ঞান কাজ করে মানবকল্যাণের নিমিত্তে। আর ‘পেনিসিলিন’ মানব কল্যাণের একটি অসামান্য আবিষ্কার। এই পেনিসিলিনের আবিষ্কারক আলেকজান্ডার ফ্লেমিং ছিলেন একজন চিকিৎসক ও জীবাণুতত্ত্ববিদ।

আলেকজান্ডার ফ্লেমিং পেনিসিলিন আবিষ্কার করেছিলেন আকস্মিক এক ঘটনাক্রমে। স্ট্যাফাইলোকক্কাস নামক জীবাণু নিয়ে কাজ করতে গিয়েই তিনি এমন এক ধরনের ছত্রাকের সন্ধান পান, যার জীবাণুনাশক ক্ষমতা রয়েছে। ছত্রাকটির নাম ‘পেনিসিলিয়াম নোটেটাম’।

আলেকজান্ডার ফ্লেমিং এর জন্ম ১৮৮১ সালের ৬ই আগষ্ট স্কটল্যান্ডের অর্ন্তগত লকফিল্ড নামক এক পাহাড়ী গ্রামে। বাবা ছিলেন চাষী। আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। দারিদ্রের মধ্যেই ছেলেবেলা কাটে ফ্লেমিং এর। যখন তার বয়স ৭ বছর, তখন তিনি বাবাকে হারান। অভাবের জন্য প্রাইমারী স্কুলের গন্ডিটুকুও শেষ করতে পারেন নি। যখন ফ্লেমিং এর বয়স ১৪, তখন তার ভাইয়েরা সকলে এসে বাসা বাঁধলো লন্ডন শহরে। তাদের দেখাশুনার ভার ছিল বোনের উপর। কিছুদিন কাজের সন্ধানে ঘোরাঘুরি করার পর ১৬ বছর বয়সে এক জাহাজ কোম্পানিতে চাকরি পেলেন ফ্লেমিং, অফিসে ফাইফরমাশ খাটার কাজ।

কিছুদিন চাকরি করেই কেটে গেল। ফ্লেমিং এর এক চাচা ছিলেন নি:সন্তান। হঠাৎ তিনি মারা গেলেন। তার সব সম্পত্তি পেয়ে গেলেন ফ্লেমিং এর ভাইয়েরা। ফ্লেমিং এর বড় ভাই টস এর পরামর্শ মতো ফ্লেমিং জাহাজ কোম্পানির চাকরি ছেড়ে দিয়ে মেডিকেল স্কুলে ভর্তি হলেন। ১৯০৮ সালে ডাক্তারির শেষ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দিলেন। কারণ, সেনাবাহিনীতে খেলাধুলার সুযোগ ছিল সবচেয়ে বেশি!

কয়েক বছর সামরিক বাহিনীতে কাজ করার পর ইউরোপ জুড়ে শুরু হল ১ম বিশ্বযুদ্ধ। সে সময় ফ্লেমিং ফ্রান্সের সামরিক বাহিনীর ডাক্তার হিসেবে কাজ করছিলেন। তিনি ব্যাক্টেরিয়া নিয়ে যে গবেষণা করছিলেন, এখানেই প্রথম তার পরীক্ষা করার সুযোগ পেলেন। হাসপাতালে প্রতিদিন অসংখ্য সৈনিক এসে ভর্তি হচ্ছিল। তাদের অনেকেরই ক্ষত ব্যাক্টেরিয়ায় দূষিত হয়ে উঠেছিল। ফ্লেমিং লক্ষ করলেন, যে সব অ্যান্টিসেপ্টিক ঔষধ চালু আছে তা কোন ভাবেই কার্যকরী হচ্ছে না। ক্ষত বেড়েই চলেছে। যদি খুব বেশি পরিমাণে অ্যান্টিসেপ্টিক ব্যবহার করা হয়, সে ক্ষেত্রে ব্যাক্টেরিয়া কিছু পরিমাণে ধ্বংস হলেও দেহকোষগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ফ্লেমিং উপলব্ধি করলেন, দেহের স্বাভাবিক শক্তিই একমাত্র এসব ব্যাক্টেরিয়াগুলো প্রতিরোধ করতে পারে, কিন্তু তার ক্ষমতাও সীমাবদ্ধ।

১৯১৮ সালে যুদ্ধ শেষ হলো, ২ মাস পর ইংল্যান্ডে ফিরে এলেন ফ্লেমিং। আন্তরিক প্রচেষ্টা স্বত্ত্বেও জীবাণুগুলোকে ধ্বংস করার মত কিছুই খুঁজে পেলেন না। ইংল্যান্ডে ফিরে এসে তিনি সেন্ট মেরিজ মেডিকেল স্কুলে ব্যাক্টেরিয়োলোজির প্রফেসর হিসেবে যোগ দিলেন। এখানে পুরোপুরিভাবে ব্যাক্টেরিয়োলোজি নিয়ে গবেষণা শুরু করলেন। কিছুদিনের মধ্যেই তিনি সঠিকভাবে উপলব্ধি করলেন মানবদেহের কিছু নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে যা এ বহিরাগত জীবাণু প্রতিরোধ করতে পারে। কিন্তু প্রত্যক্ষ কোন প্রমাণ পেলেন না। ১৯২১ সালে, একদিন ল্যাবরেটরিতে বসে কাজ করছিলেন ফ্লেমিং। কয়েকদিন ধরেই তার শরীরটা ভাল যাচ্ছিল না। সর্দি কাশিতে ভুগছিলেন। তিনি তখন প্লেটে জীবাণু কালচার নিয়ে কাজ করছিলেন, হঠাৎ প্রচন্ড হাঁচি এল। নিজেকে সামলাতে পারলেন না ফ্লেমিং। প্লেটটা সরাবার আগেই নাক থেকে খানিকটা সর্দি এসে পড়ল প্লেটের উপর। পুরো জিনিসটি নষ্ট হয়ে গেল দেখে প্লেটটি একপাশে সরিয়ে রেখে নতুন একটা প্লেট নিয়ে কাজ শুরু করলেন। কাজ শেষ হয়ে গেলে বাড়ি ফিরে গেলেন ফ্লেমিং।

পরদিন ল্যাবরেটরিতে ঢুকেই টেবিলের একপাশে সরিয়ে রাখা প্লেটটির দিকে নজর পড়ল। ভাবলেন, প্লেটটি ধুয়ে কাজ শুরু করবেন। কিন্তু প্লেটটি তুলে ধরতেই চমকে উঠলেন। গতকাল প্লেট ভর্তি ছিল যে জীবাণু দিয়ে, সেগুলো আর নেই। ভালো করে পরীক্ষা করতেই দেখলেন সব জীবাণুগুলো মারা গিয়েছে। চমকে উঠলেন ফ্লেমিং। কিসের শক্তিতে নষ্ট হলো এতগুলো জীবাণু? ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ মনে পড়লো গতকাল খানিকটা সর্দি পড়েছিল প্লেটের উপর। তবে কি সর্দির মধ্যে এমন কোন উপাদান আছে যা এই জীবাণুগুলোকে ধ্বংস করতে পারে? পরপর কয়েকটি জীবাণু কালচার করা প্লেট টেনে নিয়ে তার উপর নাক ঝাড়লেন। দেখা গেল কিছুক্ষণের মধ্যেই জীবাণুগুলো নষ্ট হতে আরম্ভ করেছে। এই আবিষ্কারের উত্তেজনায় নানাভাবে পরীক্ষা শুরু করলেন ফ্লেমিং। দেখা গেল- চোখের পানি, থুথুর জীবাণু ধ্বংস করার ক্ষমতা আছে। আর দেহ নির্গত এই প্রতিষেধক উপাদানটির নাম দিলেন লাইসোজাইম, যার অর্থ জীবাণু ধ্বংস করা। সাধারণ জীবাণুগুলোকে এটি ধ্বংস করলেও অধিকতর শক্তিশালী জীবাণুগুলোর ক্ষেত্রে ব্যার্থ হয়। তারপর আট বছর কেটে গেল।

একদিন লক্ষ্য করলেন, আকস্মিকভাবেই ঝড়ো বাতাসে খোলা জানালা দিয়ে ল্যাবরেটরির বাগান থেকে কিছু ঘাস পাতা উড়ে এসে পড়ল জীবাণু ভর্তি প্লেটের উপর। খানিক পরে প্লেটগুলো টেনে নিতেই দেখলেন জীবাণুর কালচারের মধ্যে স্পষ্ট পরিবর্তন। মনে হলো, নিশ্চয়ই এই আগাছাগুলোর মধ্যে এমন কিছু আছে যার জন্যে পরিবর্তন ঘটল। ভালো করে পরীক্ষা করতেই লক্ষ্য করলেন আগাছাগুলোর উপর ছত্রাক জন্ম নিয়েছে। সেই ছত্রাকগুলো বেছে নিয়ে জীবাণুর উপর দিতেই জীবাণুগুলো ধ্বংস হয়ে গেল। তিনি বুঝতে পারলেন, তার এতোদিনের সাধনা অবশেষে সিদ্ধি লাভ করলো। এই ছত্রাকগুলোর বৈজ্ঞানিক নাম ছিল পেনিসিলিয়াম নোটেটাম। তাই এর নাম দিলেন পেনিসিলিন। রসায়ন সম্মন্ধে জ্ঞান না থাকার কারণে পেনিসিলিন আবিষ্কার করলেও কীভাবে তাকে রাসায়নিক পদ্ধতিতে ঔষধ হিসেবে প্রস্তুত করা যায় তার কোন ধারণা ফ্লেমিং করে উঠতে পারেন নি।

আলেকজান্ডার ফ্লেমিং সর্বপ্রথম পেনিসিলিন আবিষ্কার করলেও একে মানবদেহে ব্যবহারের উপযোগী অবস্থানে নিয়ে আসেন দু’জন বিজ্ঞানী- হাওয়ার্ড ফ্লোরি (১৮৯৮-১৯৬৮) ও আর্নস্ট চেইন (১৯০৬-১৯৭৯)। ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই পেনিসিলিনের উপযোগিতা তীব্রভাবে সকলে অনুভব করল। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাওয়ার্ড ফ্লোরির নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী কীভাবে পেনিসিলিনকে ঔষধে রূপান্তরিত করা যায় তা নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করলেন। ফ্লোরির সাথে ছিলেন রসায়নবিদ ড. চেইন। কয়েক মাস প্রচেষ্টার পর তারা সামান্য পরিমাণ পেনিসিলিন তৈরি করতে সক্ষম হলেন। প্রথমে তারা কিছু জীব জন্তুর উপর পরীক্ষা করে আশাতীত ভালো ফল পেলেন। কিন্তু চূড়ান্ত ফলাফল নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মানুষের উপর পরীক্ষা। আকস্মিকভাবে সে সুযোগও এসে গেল।

একজন পুলিশ কর্মচারী মুখে সামান্য আঘাত পেয়েছিলেন। তাতে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছিল তা দূষিত হয়ে জীবাণু রক্তে ছড়িয়ে পড়েছিল। ডাক্তাররা তার জীবনের সব আশা ত্যাগ করেছিল। ১৯৪১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী প্রফেসর ফ্লোরি স্থির করলেন এই মুত্যু পথযাত্রী মানুষটির উপরই পরীক্ষা করবেন পেনিসিলিন। তাকে তিন ঘন্টা অন্তর চার বার পেনিসিলিন দেয়া হল। ২৪ ঘন্টা পর দেখা গেল যার আরোগ্য লাভের কোন আশাই ছিল না, সে প্রায় সুস্থ হয়ে উঠেছে। এই ঘটনায় সকলেই উপলব্ধি করতে পারলো চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে কি যুগান্তকারী প্রভাব বিস্তার করতে চলেছে পেনিসিলিন। ডা: চেইন বিশেষ পদ্ধতিতে পেনিসিলনকে পাউডারে পরিণত করলেন এবং ডাঃ ফ্লোরি তা বিভিন্ন রোগীর উপর প্রয়োগ করলেন। কিন্তু যুদ্ধে হাজার হাজার আহত মানুষের চিকিৎসায় ল্যাবরেটরিতে প্রস্তুত পেনিসিলিন প্রয়োজনের তুলনায় ছিল নিতান্তই কম।

আমেরিকার Northern Regional Research ল্যাবরেটরি এ ব্যাপারে সাহায্য করতে এগিয়ে এল। মানব কল্যাণে নিজের এ আবিষ্কারের ব্যাপক প্রয়োগ দেখে আনন্দে অভিভূত হয়ে উঠেছিলেন ফ্লেমিং। মানুষের কোলাহলের চেয়ে প্রকৃতির নি:সঙ্গতাই তাকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করত। মাঝে মাঝে প্রিয়তমা পত্নী সারিনকে নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন। সারিন শুধু যে তার স্ত্রী ছিলেন তা-ই নয়, ছিলেন তার যোগ্য সঙ্গিনী। ১৯৪৩ সালে তিনি রয়েল সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন। ১৯৪৪ সালে ইংল্যান্ডের রাজ দরবারের তরফ থেকে তাকে নাইট উপাধি দেয়া হল। ১৯৪৫ সালে তিনি আমেরিকা গেলেন। ১৯৪৫ সালের শেষের দিকে তিনি ফরাসি সরকারের আমন্ত্রণে ফ্রান্সে গেলেন। সর্বত্র পেলেন তিনি বিপুল সংবর্ধনা। প্যারিসে থাকাকালীন সময় তিনি জানতে পারলেন এ বছরের মানব কল্যাণে পেনিসিলিন আবিষ্কার এবং স্বার্থক প্রয়োগের জন্য নোবেল প্রাইজ কমিটি চিকিৎসা বিদ্যায় ফ্লেমিং, ফ্লোরি ও ডা: চেইনকে একই সাথে নোবেল পুরষ্কারে ভূষিত করেছে। এ পুরষ্কার পাওয়ার পর ফ্লেমিং কৌতুক করে বলেছিলেন, ‘এ পুরষ্কারটি ঈশ্বরের পাওয়া উচিত, কারণ তিনিই সবকিছুর আকস্মিক যোগাযোগ ঘটিয়েছেন’।

ফ্রান্স থেকে ফিরে এসে তিনি আবার সেন্ট মেরি হাসপাতালে ব্যাক্টেরিয়োলজির গবেষণায় মনোযোগী হয়ে উঠেন। ৪ বছর পর তার স্ত্রী সারিন মারা যান। এ মৃত্যুতে মানসিক দিক থেকে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন ফ্লেমিং। তার জীবনের এই বেদনার্ত মুহুর্তে পাশে এসে দাঁড়ালেন গ্রীক তরুণী আমালিয়া তারুকা। আমালিয়া ফ্লেমিং এর সাথে ব্যাক্টেরিয়োলজি নিয়ে গবেষণা করতেন। ১৯৫৩ সালে দু’জনে বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হলেন। কিন্তু এই সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হল না। ২ বছর পর ১৯৫৫ সালের ১১ মার্চ ৭৩ বছর বয়সে লন্ডনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ফ্লেমিং।

মানব ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হল এই পেনিসিলিন আবিষ্কার। যতদিন পৃথিবী থাকবে ততদিন আলেকজান্ডার ফ্লেমিং মানুষের হৃদয়ে অমর হয়ে থাকবেন।

– নাহিদ মুনতাসির